• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১  |   ২৯ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

মাটিরাঙ্গা হত্যাকাণ্ড : গ্রামবাসীর মামলা নিল পুলিশ

  খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি

০৭ মার্চ ২০২০, ১৪:১৬
মাটিরাঙ্গা থানা
মাটিরাঙ্গা থানা (ছবি : দৈনিক অধিকার)

খাগড়াছড়িতে পাল্টাপাল্টি অভিযোগের পর একই পরিবারের তিনজনসহ চার গ্রামবাসীকে হত্যার অভিযোগে ৬ বিজিবি সদস্যের বিরুদ্ধে শেষ পর্যন্ত মামলা নিল মাটিরাঙ্গা থানা পুলিশ। গ্রামবাসীর মামলা গ্রহণ নিয়ে নানা ধরনের টানাপোড়েনের পর শুক্রবার (৬ মার্চ) সন্ধ্যা ৭টায় এ মামলা হয়।

একই পরিবারের তিনজনসহ চার গ্রামবাসীকে হত্যার অভিযোগে ৪০ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়নের (বিজিবি) হাবিলদার মো. ইসহাক আলীসহ ছয়জনের নাম উল্লেখ করে মামলাটি দায়ের করা হয়। বিজিবির গুলিতে নিহত মো. মফিজ মিয়ার ছেলে মো. মানিক মিয়া এ মামলাটি দায়ের করেন।

মামলা গ্রহণের বিষয়টি নিশ্চিত করে মাটিরাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. শামসুদ্দিন ভুইয়া বলেন, মৃত মফিজ মিয়ার ছেলে মো. মানিক মিয়ার অভিযোগের প্রেক্ষিতে এ বিষয়ে একটি নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়েছে। তদন্ত করে এ বিষয়ে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

মামলার এজাহারে ঘটনার দিন মঙ্গলবার (৩ মার্চ) দুপুরের দিকে মো. মফিজ মিয়াসহ অপরাপর ব্যক্তিদের মারধর, জখম ও সামনে থেকে গুলি করে হত্যার অভিযোগ আনা হয় বিজিবির হাবিলদার মো. ইসহাক আলীসহ অভিযুক্ত বিজিবি সদস্যদের বিরুদ্ধে। সাধারণ মানুষকে গুলি করার সময় বাধা দেওয়ায় বিজিবি সদস্য শাওন খানকে গুলি করে হত্যারও অভিযোগ আনা হয় বিজিবি হাবিলদার মো. ইসহাক আলীর বিরুদ্ধে।

এর আগে বৃহস্পতিবার (৫ মার্চ) সন্ধ্যার দিকে মো. মানিক মিয়া বাদী হয়ে বিজিবি হাবিলদার মো. ইসহাক মিয়াসহ বিজিবির সদস্যদের বিরুদ্ধে মামলা করতে গেলেও মামলা নেয়নি পুলিশ। পুলিশ মামলা না নেওয়ায় বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে স্থানীয় জনতা।

গত ৩ মার্চ মঙ্গলবার চার টুকরা কাঁঠাল গাছ পরিবহনকালে মাটিরাঙ্গার গাজিনগরে বাধা দেয় বিজিবি। একপর্যায়ে গাছগুলো বিজিবি নিজেদের ক্যাম্পে নিয়ে যেতে চাইলে উভয়ের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। এতে বিজিবি এলোপাতাড়ি গুলি করলে এ নিহতের ঘটনা ঘটে বলে জানান স্থানীয়রা।

আরও পড়ুন : নাটোরে পিকআপ চাপায় গৃহবধূ নিহত

বিজিবির গুলিতে ঘটনাস্থলে নিহত হয়- সাহাব মিয়া ওরফে প্রকাশ মুছা মিয়া ও তার ছেলে মো. আকবর আলী। এছাড়া গুলিবিদ্ধ অবস্থায় বিজিবি সদস্য শাওন খান, স্থানীয় আহাম্মদ আলী, মো. মফিজ মিয়া এবং মো. হানিফ মিয়াকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানে মারা যান সাহাব মিয়ার আরেক ছেলে আহাম্মদ আলী ও বিজিবি সদস্য শাওন খান।

পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান আহাম্মদ আলীর শ্বশুর মো. মফিজ মিয়া। এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ মো. মফিজ মিয়ার ছেলে মো. হানিফ মিয়া চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

ওডি/এএসএল

আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি দৈনিক অধিকারকে জানাতে ই-মেইল করুন- [email protected] আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড