রংপুর প্রতিনিধি
রংপুর নগরীর ঐতিহাসিক শ্যামা সুন্দরী খাল দখল, দূষণ আর ভরাটে অস্তিত্ব বিলীনের পথে। পানি প্রবাহ না থাকায় এবং ময়লা আবর্জনায় ভরে যাওয়ায় খালটি মশা, মাছি ও রোগ জীবাণুর ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। খালপাড়ের মানুষসহ নগরীতে ময়লা আবর্জনার দুর্গন্ধে প্রকৃতি ও পরিবেশে বিরূপ প্রভাব দেখা দিয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৫ মার্চ) নগরীর ধাপ চেকপোস্ট থেকে এই অভিযান শুরু হয়। বিভিন্ন সময় অপরিকল্পিতভাবে খনন ও উন্নয়নে কোটি কোটি টাকা লোপাট হলেও অবৈধভাবে দখল, ভরাট এবং সংকোচিত করে ড্রেনে পরিণত করেছে। বন্ধ রয়েছে পানি প্রবাহ, বিলুপ্ত হচ্ছে নগরীর ১৫টি ওয়ার্ডের রোগ জীবাণু দূর করা গুরুত্বপূর্ণ এই খাল। তারই অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদের অভিযান চলছে।
রংপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা দৈনিক অধিকারকে বলেন, হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী সিএস খতিয়ান ধরে সীমানা চিহ্নিত শেষে দখল হয়ে যাওয়া রংপুরের ১৩০ বছরের ঐতিহ্যবাহী শ্যামা সুন্দরী খালের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ শুরু হয়েছে। খালের পানি প্রবাহ সচল করে খালের সৌন্দর্য বৃদ্ধির পরিকল্পনায় স্বস্তি নগরবাসীর।
পানি উন্নয়ন বোর্ড রংপুরের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মো. মাহবুবুর রহমান দৈনিক অধিকারকে জানান, রংপুর নগরীর ঘাঘট নদী থেকে ঘাঘট নগরীর ১৫টি ওয়ার্ডের ভেতর দিয়ে প্রবাহিত ১৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এই খালের সিও বাজার থেকে রবার্টসন্সগঞ্জ পর্যন্ত সাড়ে ৭ কিলোমিটার শহর অংশে পানি প্রবাহ সচল করে দুই পাড়ে পায়ে হাঁটা পথ চালুর উদ্যোগ নিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। এ জন্য সীমানা চিহ্নিত করে উচ্ছেদের পর পরিকল্পিতভাবে উন্নয়নের প্রচেষ্টায় খুশি নগরবাসী।
রংপুর জেলা প্রশাসক আসিব আহসান দৈনিক অধিকারকে বলেন, খালের উৎস মুখ থেকে মাহিগঞ্জ পাটবাড়ি পর্যন্ত খালের দুই পাশের প্রায় ১০ কিলোমিটার সংস্কার কাজ হাতে নেওয়া হয়েছে।
এর জন্য আগে রংপুর বিভাগীয় প্রশাসন, জেলা প্রশাসন, সিটি করপোরেশন, পানি উন্নয়ন বোর্ড ও সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় হাল জরিপ করা হয়েছে। মৌজাভিত্তিক কেল্লাবন্দ, রাধাবল্লভ, আলমনগর, রঘুনাথগঞ্জ ও ভগিবালাপাড়া এলাকার ১৭০ জনকে অবৈধ দখলদার হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এখন উচ্ছেদ অভিযান চালানো হচ্ছে। চিহ্নিত অবৈধ দখল পুনরুদ্ধারে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন : লক্ষ্মীপুরে বাজার ইজারা পেতে বণিক সমিতি কার্যালয় ভাঙচুর
এ সময় উচ্ছেদ অভিযানে রসিকের প্যানেল মেয়র মাহমুদুর রহমান টিটু, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) শরীফ মোহাম্মদ ফয়েজুল আলম, পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী হারুন অর রশিদ, রসিকের নির্বাহী কর্মকর্তা রুহুল আমিন মিয়া, ভূমি কমিশনার ছন্দা পালসহ জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সিটি কাউন্সিলররা উপস্থিত ছিলেন।
ওডি/জেএস
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড