সারাদেশ ডেস্ক
মোবাইল ফোনে রাজ্জাকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে কলেজছাত্রী ঈশিতা করের। এরপর গত ২৯ ফেব্রুয়ারি কুয়াকাটার একটি হোটেলে ওঠেন তারা। সেখানে তারা দুজন পরিচয় দেন স্বামী-স্ত্রী। এর দুদিন পর ৩ মার্চ ভোরে ওই হোটেল থেকে ঈশিতার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিপীড়নের পর ওই তরুণীকে হত্যা করা হয়েছে।
বুধবার (৪ মার্চ) বিকালে মরদেহ শনাক্তের পর নিহতের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এ ঘটনায় নিহতের বাবা নিপুণ কর বাদী হয়ে মহিপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
নিহত কলেজছাত্রী ঈশিতা কর বরিশালের আগৈলঝাড়া শেখ হাসিনা মেমোরিয়াল মহিলা কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী। তিনি উপজেলার বড়পাইতা গ্রামের নিপুণ করের মেয়ে। অন্যদিকে, রাজ্জাক যশোরের কেশবপুর উপজেলার বুড়িহাট গ্রামের হামেত আলী সরদারের ছেলে। সে পেশায় একজন ইটভাটা শ্রমিক। মাঝেমধ্যে তিনি সড়ক সংস্কারেও শ্রমিকের কাজ করতেন।
মহিপুর থানার এসআই মো. সাইদুর রহমান জানান, আসামির নাম-ঠিকানা হাতে নিয়ে তাকে গ্রেপ্তারে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ।
তিনি আরও জানান, গত ৪ মাস আগে আগৈলঝাড়ার বড়পাইতা গ্রামে একটি সড়কে কাজ করতে এসে রাজ্জাকের সঙ্গে পরিচয় হয় কলেজছাত্রী ঈশিতার। এরপর মোবাইল ফোনে তাদের প্রেমের সম্পর্ক হয়। সবশেষ গত ২৯ ফেব্রুয়ারি কুয়াকাটায় এসে হোটেল হলিডে ইন-এ অবস্থান নেয় দুজনে। এর দুদিন পর ৩ মার্চ ভোরে ঈশিতা করের মরদেহ হোটেল কক্ষের বিছানা থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। এ বিষয়ে পুলিশ প্রথমে ইউডি (অপমৃত্যু) মামলা নিলেও পরে মরদেহ শনাক্তের পর ফুসলিয়ে অপহরণ করে ধর্ষণ শেষে হত্যার অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করে।
আরও পড়ুন: রাজবাড়ীতে গাঁজাসহ আটক ২
মহিপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান জানান, আসামি রাজ্জাককে গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদ ও মরদেহ ময়না তদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে পরবর্তী আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
ওডি/এসএএফ
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড