খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি
নিজ বাগানের গাছ কাটাকে কেন্দ্রকরে বিজিবির সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়া নিহতদের লাশ পরিবারের মাঝে হস্তান্তর করা হয়েছে। বুধবার (৪ মার্চ) সকালে ময়নাতদন্ত শেষে খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা থানা পুলিশে এ লাশ হস্তান্তর করে।
মাটিরাঙ্গা থানার ওসি মো. শামসুদ্দিন ভুইয়া এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, হস্তান্তর করা লাশ গুলো হচ্ছে বটতলীর মো. মফিজ মিয়ার, ইসলামপুরের সাহাব মিয়া ও তার দুই ছেলে আকবর আলী ও আহাম্মদ আলীর।
নিহত বিজিবি সদস্য মো. শাওন খানের লাশ গতকাল মঙ্গলবার (৩ মার্চ) রাতেই ময়নাতদন্ত শেষে বরগুনার বেতাগী উপজেলার দক্ষিণ বাসন্ডা গ্রামে পাঠানো হয়েছে বলে তিনি জানান।
বুধবার লাশ হস্তান্তরের সময়ে উপস্থিত ছিলেন, মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিভীষণ কান্তি দাশ, সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (মাটিরাঙ্গা সার্কেল) মো. খোরশেদ আলম, মাটিরাঙ্গা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম হুমায়ুন মোরশেদ খান, সাধারণ সম্পাদক সুবাস চাকমা, মাটিরাঙ্গা সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হিরনজয় ত্রিপুরা, মাটিরাঙ্গা পৌরসভার প্যানেল মেয়র মো. আলাউদ্দিন লিটন ও মাটিরাঙ্গা পৌরসভার ১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. এমরান হোসেন।
এদিকে একই পরিবারের তিন জনসহ মোট চার জনের লাশ গ্রামে পৌছালে শোকের ছায়া নেমে আসে। আহাজারি শুরু হয় পরিবারে। এক হৃদয়বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয় সেখানে।
মাটিরাঙ্গা পৌরসভার ১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. এমরান হোসেন জানান, নিহতদের জানাজা শেষে একই পরিবারের বাবা-ছেলে তিন জনকে ইসলামপুর কবরস্থানে এবং বটতলী কবরস্থানে মো. মফিজ মিয়াকে দাফন করা হবে।
আরও পড়ুন : বগুড়ার ধুনটে সড়ক দুর্ঘটনায় শিশু নিহত
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার নিজের বাগানের গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে মাটিরাঙ্গার গাজিনগরে বিজিবি ও গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ সময় বিজিবি সদস্যদের গুলিতে ঘটনাস্থলেই মারা যান সাহাব মিয়া ও তার ছেলে মো. আকবর আলী। গুলিবিদ্ধ হয় বিজিবি সদস্য শাওন, স্থানীয় আহাম্মদ আলী, মফিজ মিয়া এবং মো. হানিফ মিয়া। তাদের মাটিরাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসারত অবস্থায় মারা যান বিজিবি সদস্য শাওন ও আহাম্মদ আলী। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা যান মো. মফিজ মিয়া। এই ঘটনায় মোট সাত জন নিহত হয়।
ওডি/এএইচ
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড