মৌলভীবাজার প্রতিনিধি
এক একটি ফুল যেন হাসি মুখে সূর্যের আলো ছড়াচ্ছে। চারিদিকে হলুদ ফুল আর সবুজ গাছে, সে এক অপরূপ দৃশ্য। প্রতিদিন আশেপাশের এলাকা থেকে সৌন্দর্য পিপাসু মানুষ সূর্যমুখী ফুলের ক্ষেত দেখতে আসছেন। অনেকেই আবার ফুলের সঙ্গে দাঁড়িয়ে ছবিও তুলে নিচ্ছেন।
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে এভাবেই সূর্যমুখী ফুলের চাষ করে লাভবান হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন কৃষক সৈয়দ জামাল হোসেন। এক বিঘা জমিতে সূর্যমুখী ফুলের চাষ করেছেন তিনি। ইতোমধ্যে গাছে ফুল ধরতেও শুরু করেছে।
সৈয়দ জামাল হোসেন (৩৫) কমলগঞ্জ পৌর এলাকার কামারগাঁও গ্রামের প্রয়াত সৈয়দ আবুল হোসেনের ছেলে। তিনি টানা দুই বারের পৌর কাউন্সিলর।
জনপ্রতিনিধিত্বের পাশাপাশি কৃষি কাজও করেন তিনি। উপজেলা কৃষি অফিস থেকে বিনামূল্যে বীজ ও সার পেয়ে এ বছর পানিশালা গ্রামে এক বিঘা জমি লিজ নিয়ে তিনি সূর্যমুখী ফুলের চাষ শুরু করেছেন।
কমলগঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, প্রতি বিঘা জমিতে এক কেজি বীজ দিতে হয়। দেড় ফুট অন্তর অন্তর একটি করে বীজ বপন করতে হয়। একটি সারি থেকে আরেকটি সারির দূরত্ব রাখতে হয় দেড় ফুট। বীজ বপন বীজ করে মাত্র ৮৫-৯০ দিনের মধ্যে বীজ উৎপাদন করা সম্ভব। প্রতি একর জমিতে সব খরচ বাদ দিয়ে ১৫-২০ হাজার টাকা লাভ হয়। যা অন্য কোনো ফসলের চেয়ে কম পরিশ্রমে ভালো আয়। অল্প সময়ে কম পরিশ্রমে ফসল উৎপাদন ও ভালো দাম পাওয়া যায় বলে কৃষকরা এখন সূর্যমুখী চাষের দিকে ঝুঁকছেন।
কৃষক জামাল হোসেন বলেন, উপজেলা কৃষি অফিসারের পরামর্শে এক বিঘা জমি লিজ নিয়ে সূর্যমুখীর চাষ শুরু করেছি। প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে আশা করছি ভালো আয় হবে। আশা করছি এক বিঘায় ছয়-সাত মণ ফলন পাওয়া যাবে।
এ ব্যাপারে কমলগঞ্জ পৌরসভার উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা কনক লাল সিংহ বলেন, কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করতে বিনামূল্যে সূর্যমুখীর বীজ ও সার দেওয়া হচ্ছে। প্রতি বিঘা জমিতে ছয় থেকে সাড়ে ছয় মণ সূর্যমুখী ফুলের বীজ পাওয়া যাবে। কৃষকদের স্বাবলম্বী করতেই সূর্যমুখী ফুল চাষে উৎসাহিত করা হয়েছে।
ওডি/এমবি
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড