আরিফ সবুজ, নোয়াখালী প্রতিনিধি
লবণাক্ততার কারণে ধান চাষে আগ্রহ হারিয়ে সবজি চাষের প্রতি মনোনিবেশ করেন নোয়াখালী জেলার সুবর্ণচর উপজেলার উপকূলীয় অঞ্চলবাসী। স্থানীয় চাষিদের সঙ্গে সবজি চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেন উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের চর নোমান গ্রামের মো. আফসার উদ্দিন। একসময়ে নুন আনতে পান্তা ফুরানোর সংসারে আজ অভাবের লেশমাত্র নেই। সংসারের যাবতীয় চাহিদা মিটিয়ে ৩৫ লাখ টাকার জমি ক্রয় করে সেখানেও নানান জাতের কৃষিজাত পণ্যের আবাদ করছেন আফসার।
সরেজমিনে গিয়ে এই প্রতিবেদকের সঙ্গে কথা হয় সফল সবজি চাষি আফসারের সঙ্গে। তিনি জানান, বিশ বছর আগে সুবর্ণচরের চরক্লার্ক থেকে এসে মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের চর নোমান গ্রামে খাস জমিতে আশ্রয় নেন। প্রথমে কষ্টে সংসার চালাতে হয়েছে। পরে সর্জান পদ্ধতিতে চাষাবাদে ভাগ্য বদলের কথা জানান আফসার। এবার ৫০ শতাংশ জমিতে লাউ চাষ করেছেন তিনি। পরিবেশ আর বাজার দর অনুকূলে থাকলে এবার তার লাউ বিক্রি হবে লক্ষাধিক টাকার।
লাউ চাষের প্রতি তার আগ্রহের কথা জানতে চাইলে দৈনিক অধিকারকে জানান, লাউ চাষে অতিরিক্ত শ্রমিকের প্রয়োজন হয় না। এছাড়াও লাউ চাষে খুব কম জায়গায় অধিক পরিমাণে ফলন পাওয়া সম্ভব হয় এবং লাউ গাছে তেমন সার ও কীটনাশকের প্রয়োজন হয় না। এতে ঝুঁকিও থাকে কম। আফসার জানান, ৫০ শতাংশ জমিতে তার খরচ হয়েছে মাত্র ৫ হাজার টাকা।
আফসারের দেখা দেখিতে লাউ চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন এলাকার আরও অনেকে। পুঁজি কম আর সীমিত জায়গায় অধিক ফলনের কারণে লাউ চাষে আফসারের মতো স্বপ্ন দেখছেন এলাকার বেকার যুবকরা। একক উদ্যোগেই সুবর্ণচরের কৃষকরা ভাগ্য বদল করছেন। তবে সরকারি সহযোগিতার অভাব রয়েছেন বলেও অনেকে জানান।
আরও পড়ুন : মহেশপুরে ক্যাপসিকাম চাষে সফল মামা-ভাগ্নে
এ ব্যাপারে কৃষিবিদ শিবব্রত ভৌমিক জানান, সুবর্ণচরের মানুষ নানান প্রতিকূলতা মোকাবিলা করার কারণে এ অঞ্চলের মানুষরা সাহসী হয়ে বেড়ে উঠেছেন। এছাড়াও সরকারি ও বেসরকারিভাবে কৃষকদের নানা প্রশিক্ষণ এবং সহযোগিতার কারণে সুবর্ণচরের কৃষকরা কৃষিতে বিপ্লব আনতে সক্ষম হয়েছেন।
ওডি/জেএস
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড