ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে আদালতের নির্দেশে মৃত্যুর প্রায় ৬ মাস পরে কবর থেকে নিহত মোর্শেদ আলমের (৬১) লাশ তুলেছে পুলিশ। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রশান্ত বৈদ্যর উপস্থিতিতে বুধবার দুপুরে উপজেলার সদর ইউনিয়নের যাত্রাপুর এলাকার একটি কবরস্থান থেকে নিহতের লাশ উত্তোলন করা হয়।
এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার যাত্রাপুর গ্রামের বড়তল্লা এলাকার একটি পুকুরের মালিকানায় রয়েছে মুর্শিদ আলমসহ আরও অন্তত ২০ থেকে ২৫ জন। গতবছর ৫ অক্টোবর ভোরে মাছ ধরা নিয়ে মোর্শেদ মিয়ার সাথে একই এলাকার ও পুকুরের ইজারা নেওয়া আজাদ, কামাল ও নুরু মিয়া তর্কে লিপ্ত হয়।
এ সময় হঠাৎ করেই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে পড়েন মোর্শেদ। পরে এলাকাবাসী তাকে উদ্ধার করে বাজিতপুর জহিরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এই ঘটনার ১১ দিন পরে নিহতের স্ত্রী নাছমিকা বাদী হয়ে একই এলাকার প্রতিবেশী হাজি কুতুব মিয়াকে প্রধান করে ৫ জনের নাম উল্লেখ ও আরও ৬/৭ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে ১৬ অক্টোবর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আদালতে একটি মামলা করেন। আদালত মামলাটি প্রথমে পুলিশ পরে আদালত সিআইডিকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে বলেন।
এরই ধারাবাহিকতায় লাশের ময়না তদন্তের জন্য আদালতে লাশটি তুলতে আবেদন করা হয় সিআইডির পক্ষ থেকে। আদালত ১৯ ফেব্রুয়ারি লাশটি ময়না তদন্তের জন্য তুলতে আদেশ দেন।
আরও পড়ুন : গোপালগঞ্জে ৩য় শ্রেণি কর্মচারীদের দ্বিতীয় দিনের কর্মবিরতি পালন
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রশান্ত বৈদ্য জানান, আদালতের নির্দেশে মোর্শেদ আলমের লাশটি কবর থেকে উত্তোলন করে ময়না তদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
ওডি/এএইচ
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড