ছাত্রীকে বকা দেওয়ায় শিক্ষিকার হাত ভেঙে দিল অভিভাবক

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলায় স্কুল শিক্ষিকার হাত ভেঙে দিয়েছে আব্দুল আলিম নামে এক অভিভাবক। শিক্ষিকার নাম সুলতানা রিজিয়া নাছরিন। এ সময় ওই শিক্ষিকাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত ও অফিস কক্ষ ভাঙচুর করে ক্ষুব্ধ অভিভাবক।

সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুর আড়াইটার দিকে কালীগঞ্জ পৌরসভার সরকারি আড়পাড়া শিবনগর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।

ঘটনার পর দোষী ব্যক্তির শাস্তির দাবিতে ওই স্কুলের শিক্ষকরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দেয়। আহত ওই শিক্ষিকা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

সরকারি আড়পাড়া শিবনগর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা অর্চণা রাণী বলেন, ঘটনার দিন সকালে বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির জুয়াইরিয়া লাবিবা নামে এক শিক্ষার্থী শ্রেণিকক্ষে মনযোগী না হওয়ায় বকাঝকা করেন শিক্ষিকা। দুপুরে ছুটির পর ওই শিক্ষার্থী বাড়ি চলে যায়। দুপুর ২টার পর ওই শিক্ষার্থীর বাবা আব্দুল আলিম ক্ষিপ্ত হয়ে স্কুলের অফিস রুমে প্রবেশ করে। এরপর তার মেয়েকে কেন বকা দেওয়া হয়েছে তার কৈফিয়ত জানতে চান।

পরে আমিসহ স্কুলের সহকারী তাকে বোঝানোর চেষ্টা করি যে তেমন কিছু হয়নি। কিন্তু তিনি আমাদের কথা না শুনে টেবিলের ওপরে থাকা একটি গ্লাস ছুড়ে মারেন। এতে নাসরিন নামে এক শিক্ষিকার হাত জখম হয় (ভেঙে যায়)। পরে তিনি আরও উত্তেজিত হয়ে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন।

বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির কালীগঞ্জ শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম মোর্শেদ বলেন, অন্যায় করলে তার ব্যবস্থা অফিশিয়ালি নেওয়ার বিধান রয়েছে কিন্তু অফিস চলাকালীন একজন শিক্ষকের ওপর হামলা মেনে নেওয়া যায় না। আমরা দোষী ব্যক্তির শাস্তির দাবিতে বিকালেই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। তিনি তাৎক্ষণিকভাবে থানার ওসিকে মামলা নেওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন।

আরও পড়ুন : নোয়াখালীতে ৩টি ট্রাভেল এজেন্সিকে দেড় লাখ টাকা জরিমানা

এ বিষয়ে কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সূবর্ণা রানী সাহা বলেন, বিকালে লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পর কালীগঞ্জ থানার ওসিকে মামলা নিতে নির্দেশ দিয়েছি। এছাড়া দ্রুত হামলাকারী অভিভাবক আব্দুল আলিমকে আটক করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

ওডি/এসএএফ