• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩০ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

শিক্ষার আলো ছড়াচ্ছে ‘উপকূলের বাতিঘর’

  শিব্বির আহমদ রানা, বাঁশখালী, চট্টগ্রাম

২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১৪:০৪
চট্টগ্রাম
পিটি করছে এশায়াতুল উলুম ইসলামিয়া মাদরাসার শিক্ষার্থীরা (ছবি : দৈনিক অধিকার)

অবকাঠামোগত সমস্যার মাঝেও চট্টগ্রামের বাঁশখালীর উপকূলীয় অঞ্চল গন্ডামারা ইউনিয়নের বড়ঘোনায় এশায়াতুল উলুম (দারুল হিকমা) ইসলামিয়া মাদরাসা দ্বীনি শিক্ষার আলো ছড়াচ্ছে।

জানা যায়, গন্ডামারা ইউনিয়নের উত্তর-পূর্ব বড়ঘোনায় ১৯৮৫ সালে ওই ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মাওলানা আরিফ উল্লাহর সহায়তায় প্রতিষ্ঠানটির যাত্রা শুরু হয়। এরপর থেকে ওই এলাকায় শিক্ষা বিস্তারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। মাদরাসাটি প্রতিষ্ঠার পর থেকে অবহেলিত, শিক্ষা বঞ্চিত এলাকার ছেলে-মেয়েদের দীর্ঘ সাত বছর ধরে সুনামের সাথে পাঠদান করে আসছিল।

কিন্তু প্রকৃতির বৈরী আচরণ ১৯৯১ সালের ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড়ে ভেঙে যায় সব অবকাঠামো। স্থগিত হয়ে যায় মাদরাসার শিক্ষা কার্যক্রম।

সমুদ্র উপকূল ঘেঁষে বিশাল আয়তনের গন্ডামারা ইউনিয়নটি পূর্ব বড়ঘোনা, পশ্চিম বড়ঘোনা, গন্ডামারা এ তিন অংশে বিভক্ত। বিশাল জনগোষ্ঠীর বসবাস পূর্ব বড়ঘোনায়। এখানে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান না থাকায় কয়েক মাইল পায়ে হেঁটে কাঁদা মাড়িয়ে ওই এলাকার ছেলে-মেয়েরা শিক্ষার জন্য ছুটে যেত দূরবর্তী অন্য ইউনিয়নে অবস্থিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। শিক্ষা বঞ্চিত পূর্ব-পশ্চিম বড়ঘোনার ছয়টি ওয়ার্ডের বিশাল জনগোষ্ঠীর কথা ভেবে, শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিতে ৯১ এর ধ্বংসস্তূপ থেকে পুনরায় মাদরাসার সংস্কার করে নতুন রূপদান করেন গন্ডামারা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মওলানা মুহাম্মদ আরিফ উল্লাহ।

উপকূলের বাতিঘর খ্যাত এশায়াতুল উলুম (দারুল হিকমা) ইসলামিয়া মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক আরিফ উল্লাহর দক্ষ পরিচালনায় বর্তমানে ১৬ জন অভিজ্ঞ শিক্ষক-শিক্ষিকা দ্বারা চলছে নিয়মিত পাঠদান। এখান থেকে অধ্যয়ন করে শত শত ছাত্র-ছাত্রী দেশের বিভিন্ন সেক্টরে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখছে। ঐতিহ্যবাহী এ দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়ালেখা ও শিক্ষকদের নিরলস প্রচেষ্টার কারণে অভিভাবকরা নিজের ছেলে-মেয়েদের এ প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন সফলতার কারণে এলাকাবাসী আস্থা অর্জন করেছে।

এ মাদরাসায় ইবতেদায়ী প্রথম থেকে দাখিল ১০ম শ্রেণিতে ৭১০ জন ছাত্র-ছাত্রী অধ্যয়ন করছে। ১৬ জন শিক্ষক তাদের মাঝে জ্ঞানের আলো ছড়িয়ে যাচ্ছেন।

মাদরাসার সুপার মাওলানা নিজাম উদ্দিন জানান, প্রতিষ্ঠানটি যাত্রার ৩৫ বছর অতিবাহিত করলেও অবকাঠামোগত কোনো উন্নয়ন হয় নি। বর্তমানে আধাপাকা ও নিম্নমানের টিনশেডের ঘরে পাঠদান কার্যক্রম চলছে। অবকাঠামোগত সমস্যা, পর্যাপ্ত পরিমাণ একাডেমিক ভবনের অভাব, অফিস রুম, কমন রুম, সমৃদ্ধ লাইব্রেরি, মাল্টিমিডিয়া ক্লাস রুম, বঙ্গবন্ধু-বঙ্গমাতা ও মুক্তিযোদ্ধা কর্নারের কোনো ব্যবস্থা নেই। সীমাবদ্ধতা স্বত্ত্বেও আমরা শিক্ষার্থীদের সর্বোচ্চটা দিতে চেষ্টা করছি।

মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ও পরিচালনার কমিটির সভাপতি মাও. মুহাম্মদ আরিফ উল্লাহ জানান, আমাদের অবকাঠামোগত সমস্যা ও বাউন্ডারি ওয়াল না থাকায় নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। তিনি মাদরাসাটির অবকাঠামোগত উন্নয়নের জন্য শিক্ষক, অভিভাবক ও এলাকাবাসী সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।

ওডি/এমবি

আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি দৈনিক অধিকারকে জানাতে ই-মেইল করুন- [email protected] আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড