যশোর প্রতিনিধি
যশোরে মুক্তিযোদ্ধার ভুয়া সার্টিফিকেট দিয়ে পুলিশে চাকরির মামলায় ৪ জন আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন।
রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) জেলা জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মঞ্জুরুল ইসলাম আসামিদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
আসামিরা হলো- যশোর সদর উপজেলার ছাতিয়ানতলা ঘোপ গ্রামের সাইফুর রহমানের ছেলে কনস্টেবল রানা হাসান, বাঘারপাড়ার সাইটখালি গ্রামের আহাদ আলীর ছেলে কনস্টেবল বাপ্পী মাহমুদ, চৌগাছার জগন্নাথপুর গ্রামের মোজাম্মেল হকের ছেলে কনস্টেবল মনিরুজ্জামান ও কোটালিপুর গ্রামের আব্দুস সাত্তার বিশ্বাসের ছেলে কনস্টেবল আলীম উদ্দিন।
মামলার অভিযোগে জানা গেছে, ২০১৫ সালের ২৬ নভেম্বর পুলিশের কনস্টেবল পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির ভিত্তিতে ৩ ডিসেম্বর যশোর পুলিশ লাইন ময়দানে কনস্টেবল পদে নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এ দিন মুক্তিযোদ্ধা কোটায় কনস্টেবল পদে তারা চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত হয়। ৬ মাসের প্রশিক্ষণ শেষে তাদের পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটে যোগদান করানো হয়।
এরপর তাদের দেওয়া মুক্তিযোদ্ধার সার্টিফিকেট যাচাই-বাছাইয়ের জন্য পুলিশ হেড কোয়ার্টারের মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। যাচাই-বাছাইয়ে চূড়ান্তভাবে নিয়োগ পাওয়া ৮ জনের সর্টিফিকেট ভুয়া বলে প্রমাণিত হয়। এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর মন্ত্রণালয়ের সুপারিশে ৩০ ডিসেম্বর প্রতারণা ও জাল জালিয়াতির অভিযোগে ওই ৮ জনকে আসামি করে কোতয়ালি থানায় মামলা করেন যশোর রিজার্ভ অফিসের পরিদর্শক এম মশিউর রহমান।
আরও পড়ুন: অজ্ঞাত রোগে একই পরিবারের ২ জনের মৃত্যু, অসুস্থ আরও ৩ জন
এ মামলার এজাহারভুক্ত ৮ জনের মধ্যে ওই ৪ জন পুলিশি গ্রেপ্তার এড়াতে রবিবার আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। বিচারক জামিন আবেদনের শুনানি শেষে তাদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
ওডি/এসএএফ
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড