শাহ্ সৈকত মুন্না, মির্জাপুর (টাঙ্গাইল)
টাঙ্গাইল জেলার মির্জাপুর উপজেলায় অবৈধ মাটি ব্যবসায়ীদের মাটি কাটার মহোৎসব চলছে। বিভিন্ন এলাকায় দিনে রাতে ড্রামট্রাক করে মাটি যাচ্ছে ইটভাটাসহ বিভিন্ন স্থানে। মাটি কাটার জন্য নদীর উপর অস্থায়ী বাঁধ নির্মাণ করে নিয়েছে তারা।
উপজেলার কোট বহুরিয়া, মন্দিরাপাড়া, মীর দেওহাটা এলাকায় সরেজমিনে গিয়ে এমন চিত্র দেখা গিয়েছে। লৌহজং নদীর কোট বহুরিয়া, মীর দেওহাটা এলাকার নদীর উপর ভরাট করে তিনটি রাস্তা বানানো হয়েছে। দিনে রাতে ড্রামট্রাক যোগে চলছে মাটি বিক্রি। নদীতে বাঁধ দেওয়ার ফলে নদীর গতিপথ বাধাপ্রাপ্ত হয়ে নৌ যোগাযোগ বন্ধের পাশাপাশি বন্ধ হয়ে গেছে বোরো আবাদ। মাটি কাটার এই মহাযজ্ঞের নেতৃত্বে রয়েছে কমপক্ষে ৫টি প্রভাবশালী মহল। ১০ থেকে ১২টি ভেক্যুমেশিন দিয়ে প্রায় ৪০ থেকে ৫০টি ড্রামট্রাকযোগে মাটি সরবরাহ করা হচ্ছে স্থানীয় ইটভাটাগুলোতে।
মাটি ব্যবসায়ীরা হচ্ছেন, উপজেলার গোড়াই ইউনিয়নের মীর দেওহাটা গ্রামের ইটভাটার মালিক মো. ফজল মিয়া, ফরিদ মিয়া, শহিদুর রহমান শহিদ, মোতালেব মিয়া, আকবর মিয়া, আসাদসহ গংরা এই মাটি কাটার মহাযজ্ঞের নেতৃত্ব দিচ্ছেন বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।
অভিযোগ রয়েছে, কেউ কেউ স্বেচ্ছায় মাটি ব্যবসায়ীদের কাছে তাদের জমি বিক্রি করলেও অনেকে বাধ্য হয়েও জমি বিক্রি করেছেন। জমি বিক্রি না করলে তার পাশের জমি থেকে এমনভাবে মাটি উত্তোলন করা হয় যাতে এই জমির মালিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ফলে অনেকটা বাধ্য হয়ে কম মূল্যে আবাদি জমির মাটি বিক্রি করে দেয় স্থানীয় কৃষকরা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা জানান, প্রতি বছরই এভাবে কৃষি জমির মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছে প্রভাবশালী মহল। এতে করে কৃষিজমি কমে যাচ্ছে। শত শত মাটির ট্রাক রাস্তা দিয়ে চলাচল করায় ব্যাপক ধুলোয় বাড়ছে রোগ-ব্যাধি, নদীও হারাচ্ছে তার সৌন্দর্য।
মাটি ব্যবসায়ী আকবর ও ইটভাটা মালিক ফরিদ মিয়ার সাথে কথা হলে তারা বিষয়টি নিয়ে সাংবাদিকদের সাথে মীমাংসা করার প্রস্তাব দেন।
আরও পড়ুন : চলন্ত ট্রেনে উঠতে গিয়ে প্রাণ হারালেন খুবির অধ্যাপক
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আবদুল মালেক জানান, আমরা প্রতিনিয়ত মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে অবৈধ মাটি ব্যবসা বন্ধ করে চলেছি। দ্রুত সময়ের মধ্যে এগুলোও বন্ধ করা হবে।
ওডি/জেএস
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড