বরিশাল ব্যুরো
থানায় বিচার চাইতে যাওয়া এক মুক্তিযোদ্ধাকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করে বের করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বাকেরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবুল কালামের বিরুদ্ধে। অভিযোগকারী মুক্তিযোদ্ধা শাহে আলম (৭০) বাকেরগঞ্জ উপজেলার নেয়ামতি গ্রামের বাসিন্দা। তিনি পুলিশ কনস্টেবল হিসেবে ওই থানা থেকেই ২০০৪ সালে অবসরগ্রহণ করেন। তার দুই ছেলেও পুলিশের কনস্টেবল। তবে ওসি আবুল কালাম তার বিরুদ্ধে করা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
শাহে আলমের ছেলে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশে কর্মরত কনস্টেবল মো. মালেক জানান, নেয়ামতি বাজারে তার মায়ের ওয়ারিশ সূত্রে পাওয়া ৬ শতাংশ জমি নিয়ে আপন মামা মো. মোস্তাফিজের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছে। মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বিকালে তার ভাই র্যাব-৯ এর সদস্য (পুলিশের কনস্টেবল) বাদশা ছুটি কাটিয়ে নেয়ামতি থেকে লঞ্চযোগে কর্মস্থল সুনামগঞ্জের উদ্দেশ্যে যাচ্ছিলেন। এ সময় বাজারের জমি নিয়ে বাদশার সঙ্গে মামা মোস্তফার ঝগড়া হয়। একপর্যায়ে মারামারিতে বাদশা আত্মরক্ষার্থে দৌড়ে বাজারের রুহুল আমীনের কসমেটিকসের দোকানে ঢুকে পড়ে। ক্ষুব্ধ হয়ে মোস্তফা ওই দোকানের গ্লাস ভাঙচুর এবং সাটারে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপ দেয়। স্থানীয়দের হস্তক্ষেপে প্রাণে রক্ষা পায় বাদশা। এ ঘটনায় ওইদিনই তার বাবা মুক্তিযোদ্ধা শাহে আলম হামলাকারী মোস্তফার বিরুদ্ধে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেন। অভিযোগে তিনি তার ছেলে বাদশাকে প্রাণনাশের চেষ্টার অভিযোগ করেন।
মুক্তিযোদ্ধা শাহে আলম জানান, মঙ্গলবার দেওয়া অভিযোগের বিষয়ে পুলিশের পদক্ষেপ জানতে বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যার পর ওসির কক্ষে যান তিনি। এ সময় ওসি তার দেওয়া অভিযোগের বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে উল্টো বিবাদীর সঙ্গে সমঝোতা করতে বলেন। তিনি সমঝোতায় রাজী না হয়ে ছেলেকে হত্যাচেষ্টার বিচার দাবি করেন। এ সময় ওসি উত্তেজিত হয়ে তাকে গালাগাল করেন এবং তার কক্ষ থেকে বের হয়ে যেতে বলেন।
আরও পড়ুন : মানসিক ভারসাম্যহীন নারীর সন্তান প্রসব, দেখভাল করছেন ইউএনও
এ ব্যাপারে বাকেরগঞ্জ থানার ওসি আবুল কালাম জানান, শালা-দুলাভাইয়ের মধ্যে বিরোধ। হামলার অভিযোগ করা হয়েছে। পুলিশ প্রাথমিক তদন্তে হামলার সত্যতা পায়নি। তারা বাদী-বিবাদী থানায় বসে ঝগড়ায় লিপ্ত হলে তিনি থানার বাইরে গিয়ে তাদের ঝামেলা মেটাতে বলেন। তাকে কোনোভাবে গালাগাল কিংবা থানা থেকে বের হয়ে যেতে বলা হয়নি। অভিযোগকারী মামলা করতে চাইলে পুলিশ মামলা নেবে। তবে মামলার প্রাথমিক সত্যতা না থাকায় এ মামলা টিকবে না বলে ওসি মন্তব্য করেন।
ওডি/জেএস
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড