• মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩৯ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

দিনাজপুরে প্রতি বছর শত শত টন লিচু পচে নষ্ট হয়

  সুবল রায়, দিনাজপুর

১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১৩:০৭
দিনাজপুর
লিচু (ছবি : দৈনিক অধিকার)

দিনাজপুরের লিচু লোভনীয় ও সুস্বাদু। এ লিচুর চাহিদা দেশজুড়ে। কিন্তু দিনাজপুরে কোনো লিচু সংরক্ষণাগার, গবেষণা কেন্দ্র ও মান নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র না থাকায় প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ টাকার লিচু পচে নষ্ট হয়ে যায়। ফলে বাম্পার ফলন হলেও দাম পায় না লিচু উৎপাদনকারী কৃষকরা। লিচু পচনের ভয়ে বিক্রি করতে হয় কম দামে। আর এই কারণে প্রতি বছর কৃষকদের গুণতে হয় লাখ লাখ টাকার ক্ষতি। প্রভাব পরে দিনাজপুরের অর্থনীতিতে।

লিচু দিনাজপুরের একটি অন্যতম অর্থকরী কৃষি পণ্য। লিচু উৎপাদন, পরিবহন ও ব্যবসার সঙ্গে জড়িত রয়েছে এ অঞ্চলের প্রায় ৮০ হাজার মানুষ। দিনাজপুরের মাটি লিচু উৎপাদনে উপযুক্ত হওয়ায় এখানে বিরল উপজেলায় ২৫শ হেক্টর জমিতে গড়ে উঠেছে ২২শর বেশি লিচু বাগান। তাছাড়া বাড়ির আশেপাশে উঠান আঙ্গিনাসহ স্কুল কলেজের মাঠে অসংখ্য লিচু গাছ দেখা যায়। এখানে রয়েছে, বম্বে, চায়না টু, চায়না থ্রি, বেদানা, মাদ্রাজি ও কাঁঠালিসহ বিভিন্ন প্রজাতির লিচু।

লিচু উৎপাদনকারী কৃষক মোশাররফ হোসেন মানিক বলেন, একটি পুর্ণবতী গাছ থেকে বছরে পাওয়া যায় ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা। মৌসুমে এই লিচুটি বিক্রি করে সংসারের দৈনন্দিন খরচ করে থাকে এই অঞ্চলের কৃষক পরিবাররা। কিন্তু এই অর্থকরী ফসল লিচু সংরক্ষণ করার মতো সংরক্ষণাগার এই পর্যন্ত দিনাজপুরে স্থাপন করা হয়নি। ফলে সংরক্ষণের অভাবে প্রতি বছর পচে নষ্ট হয়ে যায় হাজার হাজার টন লিচু। তাই লিচু উৎপাদনকারীরা জেলায় একটি লিচু সংরক্ষণাগার, গবেষণা কেন্দ্র ও মান নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র স্থাপনের দাবি জানান এবং এলাকায় অবিলম্বে একটি লিচু সংরক্ষণাগার, গবেষণা কেন্দ্র ও মান নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র বা ওয়ারহাউজ স্থাপনের জোর দাবি জানিয়েছেন সুধিজনরা।

দিনাজপুরের ১৩টি উপজেলার মাটিতে প্রচুর পরিমাণ লিচু উৎপাদন করা হয়। গত লিচু মৌসুমে ২৫শ হেক্টর জমিতে লিচু উৎপাদনের লক্ষ্য মাত্রা নির্ধারণ করা হলেও অর্জিত হয় লক্ষ্য মাত্রার চেয়ে অনেক বেশি। কিন্তু জেলায় কোনো লিচু সংরক্ষণাগার, গবেষণা কেন্দ্র ও মান নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র না থাকায় পচে যাওয়ার ভয়ে কম দামে বিক্রি করতে হয় কৃষকদের।

এই অবস্থা থেকে উত্তোলনের জন্য বিরল উপজেলার কর্মকর্তা মাহবুবার রহমানকে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, আমরা এ বিষয়ে বিরল উপজেলায় গবেষণাগার ও অন্যান্য বিষয়ে একটি পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি।

বাংলাদেশের কৃষি বিভাগ দিনাজপুরের বিখ্যাত লিচু পচন ঠেকাতে ও কমদামে বিক্রির হাত থেকে রক্ষা করে অর্থনৈতিকভাবে কৃষকদের স্বাবলম্বী হতে জরুরিভিত্তিক দিনাজপুর জেলায় একটি লিচু সংরক্ষণাগার, গবেষণা কেন্দ্র ও মান নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র স্থাপন করতে এগিয়ে আসবে এমনটি প্রত্যাশা করে লিচু উৎপাদনকারী কৃষকরা।

ওডি/আরবি

আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি দৈনিক অধিকারকে জানাতে ই-মেইল করুন- [email protected] আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড