• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩৬ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

পরমানন্দপুরের খাস জলাশয়কে মৎস্য অভয়াশ্রম ঘোষণা 

  পাবনা প্রতিনিধি

১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১০:১৩
পাবনা
মৎস্য অভয়াশ্রম (ছবি : দৈনিক অধিকার)

পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার পরমানন্দপুর গ্রামের বিরোধপূর্ণ খাস জলাশয়কে মৎস্য অভয়াশ্রম ঘোষণা করেছেন জেলা প্রশাসক কবীর মাহমুদ।

শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে তিনি উপজেলার খান মরিচ ইউনিয়নের পরমানন্দপুর গ্রামে এসে গ্রামবাসীর উপস্থিতিতে এ ঘোষণা দেন। এ সময় তিনি ওই পুকুরে সাইনবোর্ড টাঙানোর ব্যবস্থা করেন। এতে সরকারি খাস জলাশয় রাজস্বখাতে ফেরার পাশাপাশি গ্রামবাসীর মধ্যে দীর্ঘদিনের বিরোধ ও রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কাও কেটে গেল। এতে পরমানন্দপুর গ্রামে আবার আনন্দের বন্যা দেখা দিয়েছে বলে স্থানীয়রা জানান।

ভাঙ্গুড়া উপজেলার খান মরিচ ইউনিয়ন ভূমি অফিস সূত্রে জানা যায়, এই ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের পরমানন্দপুর গ্রামের প্রায় সাড়ে ১৫ বিঘা খাস জমি রয়েছে। যা প্রায় ২০ বছর আগে ১৮ জন ভূমিহীনদের মধ্যে বন্দোবস্ত দেন তৎকালীন জেলা প্রশাসক। অন্যান্য ভূমিহীন ব্যক্তিরা বন্দোবস্তকৃত ভূমি ভোগ দখল করলেও প্রায় সাড়ে তিন বিঘা জমি নিয়ে দুই গ্রুপের একাধিকবার সংঘর্ষ ও আহত হওয়ার ঘটনা ঘটে। একাধিকবার স্থানীয় সুধিজন ও রাজনৈতিক মহল মীমাংসার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। ফলে গত চার বছর ধরে ওই জলাশয়ে কেউই দখলে যেতে পারেননি।

সম্প্রতি দুই পক্ষের মধ্যে আবারও ওই জলাশয়ে মাছ ধরা নিয়ে উত্তেজনাকর অবস্থা সৃষ্টি হচ্ছিল। এমন খবরের পরিপ্রেক্ষিতে শনিবার দুপুরে জেলা প্রশাসক কবির মাহমুদ স্থানীয় ভূমি কর্মকর্তার সহায়তায় উপস্থিত থেকে জেলেদের দিয়ে মাছ ধরে জলাশয়টিকে মৎস্য অভয়াশ্রম ঘোষণা করেন।

এ সময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোকলেছুর রহমান, ভাঙ্গুড়া উপজেলা চেয়ারম্যান বাকী বিল্লাহ, ইউএনও সৈয়দ আশরাফুজ্জামান, ফরিদপুর ইউএনও আহম্মদ আলী উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান গোলাম হাফিজ রঞ্জু, আজিদা পারভীন পাখি, খান মরিচ ইউপি চেয়ারম্যান আসাদুর রহমান আসাদ, উপজেলা ভূমি অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।

ভূমিহীন জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘আমরা গরিব বলে ন্যায় বিচার পাইনি। তাই আমরা একাধিক বার মার খেলেও আমাদের পাশে কেউ দাঁড়ায়নি। আজ আবার সরকার কর্তৃক আমাদের দেওয়া বন্দোবস্ত ভূমি ফিরিয়ে নেওয়া হচ্ছে।’

এ দিকে অপর পক্ষের নয়ন হোসেন বলেন, ওই ভূমি ডিএস রেকর্ডে নদী ছিল এবং এসএ রেকর্ডে নালা বলে উল্লেখ আছে। স্থানীয় জনসাধারণের পানি নিষ্কাশনের জন্য বন্দোবস্ত বহির্ভূত লেখা রয়েছে। তাই আমরা বন্দোবস্ত বাতিলের দাবি করেছি। সেই দাবি আজ বাস্তবায়ন হলো।’

ভাঙ্গুড়ার উপজেলা নির্বাহী অফিসার সৈয়দ আশরাফুজ্জামান বলেন, জলাশয় তিন বছরের জন্য বন্দোবস্ত দেওয়ার বিধান আছে। যার মেয়াদ অনেক আগেই শেষ হয়েছে। তাই সরকারি সম্পত্তি সরকার তার খতিয়ানে নিতে পারেন।

আরও পড়ুন : সাবেক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট রহমত আলী আর নেই

এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক কবীর মাহমুদ বলেন, বর্তমানে জলাশয়-খালবিলে পানি সেঁচে মাছ মারা হচ্ছে, বিষ প্রয়োগেও মাছ মারা হচ্ছে। ফলে মা মাছ তৈরি হচ্ছে না। মা মাছের জন্য মাছের অভয়াশ্রম তৈরি করা দরকার।তাই দীর্ঘদিনের বিরোধ পূর্ণ সরকারি জলাশয়কে মাছের অভয়াশ্রম তৈরি করা হলো। এতে করে এখানে একদিকে যেমন মা মাছ তৈরি হবে অন্যদিকে জলাশয়টি নিয়ে বিরোধ বন্ধ হবে।

ওডি/জেএস

আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি দৈনিক অধিকারকে জানাতে ই-মেইল করুন- [email protected] আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড