ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি
স্ত্রী হিসেবে স্বীকৃতির দাবিতে ঠাকুরগাঁওয়ে প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ করেছেন এক গৃহবধূ। তার নাম শ্রী মতি ভগবতী রায়। কিন্তু শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ করেও কোনো সুরহা পাননি বলে জানান তিনি।
বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয় চত্বরে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এ অভিযোগ করেন।
গৃহবধূ শ্রী মতি নীলফামারীর ডোমার উপজেলার পশ্চিম চিকনমাটি গ্রামের ঝাড় রামের মেয়ে। সে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার শুখানপুকুরী ইউনিয়নের তেওয়ারীগাঁও গ্রামের ধীরেন্দ্র নাথ রায়ের ছেলে কালিদাস রায়ের স্ত্রী।
শ্রী মতি ভগবতী রায় অভিযোগ করে বলেন, ২০১৮ সালে প্রেমের সম্পর্কে কালিদাস রায়ের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে তারা দুজন ডোমারের পশ্চিম চিকনমাটি পানাতিপাড়া গ্রামে একটি ভাড়া বাসায় থাকত।
তিনি আরও বলেন, সম্প্রতি ঠাকুরগাঁওয়ে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে আমার স্বামী কালিদাস রায় উত্তীর্ণ হয়। এরপর তিনি গত ৪ জানুয়ারি সকালে আমার কাছে ১০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে এবং টাকা এনে দিতে চাপ প্রয়োগ করেন। আমি টাকা দিতে অস্বীকার করলে তিনি আমাকে বেধড়ক মারধর করেন। বিষয়টি নিয়ে উভয় পরিবারের লোকজন মীমাংসা না হওয়ায় গত ২ ফেব্রুয়ারি শ্রী মতি ভগবতী রায় বাদী হয়ে নীলফামারীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে যৌতুক ও নির্যাতন মামলা দায়ের করেন। মামলায় স্বামী কালিদাস রায়কে আসামি করা হয়।
এ দিকে গৃহবধূ শ্রী মতি ভগবতী রায় তার স্ত্রীর মর্যাদা ফিরে পেতে ও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে স্বামী কালিদাস রায়ের যোগদানপত্র স্থগিতের দাবিতে ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেন তিনি। জেলা প্রশাসক অভিযোগের বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেন।
শ্রী মতি ভগবতী রায় বলেন, গত ৩ ফেব্রুয়ারি ডোমার থেকে ঠাকুরগাঁওয়ে এসে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হারুনর রশিদের অফিসে গিয়ে এ বিষয়ে কথা বলি। তিনি আমাকে আশ্বাস দেন সহকারী শিক্ষক পদে আমার স্বামী কালিদাস রায়ের যোগদানপত্র স্থগিত করা হবে। এরপর আবারও ৫ ও ১২ ফেব্রুয়ারি শিক্ষা কর্মকর্তা হারুনর রশিদের সঙ্গে দেখা করলে তিনি একই আশ্বাস দেন।
এরপর বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে শিক্ষা কর্মকর্তা হারুনর রশিদের সঙ্গে দেখা করলে তিনি জানিয়ে দেন চাকরিতে আমার স্বামীর যোগদানপত্র স্থগিত হচ্ছে না। এ দিন আমার স্বামীকে যোগদানপত্র দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে ঠাকুরগাঁও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হারুনর রশিদ বলেন, আদালত থেকে আদেশ না পাওয়া পর্যন্ত আমরা কোনো ব্যবস্থা নিতে পারব না। আদালতের আদেশ পেলে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।
আরও পড়ুন: আমি কি আর বাঁচব না?
গৃহবধূকে আশ্বাস দেওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, উনি হয়তো ভুল শুনেছেন, আমার পক্ষ থেকে এ ধরনের কোনো আশ্বাস দেওয়া হয়নি।
ওডি/এসএএফ
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড