ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ ৬ মাস বা এক বছর পর্যন্ত খেলে তা স্বাস্থ্যের জন্য কোনো ক্ষতি করে না। এটি মেডিকেল টেস্টে প্রমাণিত। মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ খাওয়া যাবে না এর কোনো বিধান নেই বলে জানিয়েছেন ঝিনাইদহ ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. নাজমুল হাসান।
বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সকালে ফার্মেসিতে জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা কালে তিনি এ কথা বলেন।
তবে বিষয়টি নিয়ে ঝিনাইদহ সিভিল সার্জন ডা. সেলিনা বেগম দৈনিক অধিকারকে বলেন, ‘কোনো ক্রমেই মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ খাওয়া যাবে না। মেয়াদ শেষ হলে ওষুধ যে উপাদান দিয়ে তৈরি হয় তার গুণগতমান নষ্ট হয়ে যায়। যা খেলে মানবস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতির কারণ হতে পারে। এমনকি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। কোনো ওষুধের মেয়াদ কবে শেষ হবে, কতদিন গুণগতমান থাকবে তা কোম্পানিগুলো দেখেই তৈরি করে। ওষুধ প্রশাসন কর্মকর্তা কীভাবে কোন নির্দেশনায় মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ খাওয়া যাবে বলেছেন সেটা আমার বোধগম্য না।’
জানা যায়, প্রায় এক মাস যাবত জেলা শহরের বিভিন্ন ওষুধ ফার্মেসিতে পূর্বের ৫ শতাংশ বা ৭ শতাংশ কমিশনে ওষুধ বিক্রি বন্ধ করে দেয় বিক্রেতারা। পরে তারা কোম্পানির এমআরপি রেটে বিক্রি শুরু করে। যা কিনতে গিয়ে অনেকটা নাভিশ্বাস ওঠে ক্রেতাদের মধ্যে। এসব অভিযোগের প্রেক্ষিতে শহরের প্রায় ১৫টি ফার্মেসিতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়েছে। এদের মধ্যে ৩টি ফার্মেসিতে ১২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইরফানুল হক।
এ সময় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সুচন্দন মন্ডল, জেলা ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. নাজমুল হাসান উপস্থিত ছিলেন।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক ইরফানুল হক জানান, সরকারি নির্দেশনা না থাকলেও ফার্মেসিতে কমিশন বাদে এমআরপি রেটে ওষুধ বিক্রি হচ্ছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। ঘটনার সত্যতা পেয়ে এবং মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ রাখায় শহরের মাসুদ ফার্মাকে ২ হাজার, আক্তার ফার্মেসিকে ৫ হাজার ও তাজমহল ফার্মেসিকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। সে সময় বাকিদের সতর্ক করা হয়েছে ভবিষ্যতে যেন এমন অনিয়ম না করা হয়।
তিনি আরও জানান, ঔষধ প্রশাসনের সহকারী পরিচালক মো. নাজমুল হাসান যে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ খাওয়া যাবে বলেছেন তা তাকে প্রমাণ করতে হবে।
আরও পড়ুন : শতভাগ বিদ্যুতের আওতায় শেরপুরের ২ উপজেলা
এ দিকে ক্ষুব্ধ সাধারণ মানুষ অভিযোগ করে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে ইচ্ছামত বিক্রেতারা ওষুধ বিক্রি করে আসছে কিন্তু ঔষধ প্রশাসন কোনো তদারকি করে না। পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন জেলায় ৫ শতাংশ, ৭ শতাংশ, ১০ শতাংশ হারে ওষুধ বিক্রি হচ্ছে। কিন্তু ঝিনাইদহে এর ব্যতিক্রম। সরকারের উচিত উপর মহল থেকে এর তদারকি করা এবং যারা এর সঙ্গে জড়িত তাদের শাস্তির আওতায় আনা।
ওডি/জেএস
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড