ভৈরব প্রতিনিধি
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে দাফনের ১০ মাস পর কবর থেকে নূরুল হক নামের এক ব্যক্তির লাশ উত্তোলন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১১ফেব্রুয়ারি) দুপুরে কিশোরগঞ্জ আদালতের আদেশে ভৈরব উপজেলা সহকারী কমিশনার ( ভূমি) ও ম্যাজিস্ট্রেট হিমাদ্রি খীসা ও ভৈরব সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার রেজওয়ান আহমেদ দীপুর উপস্থিতিতে উপজেলার নবীপুর গ্রামের কবরস্থান থেকে লাশ উত্তোলন করা হয়। পরে ময়না তদন্তের জন্য লাশটি কিশোরগঞ্জে পাঠানো হয়। নিহত নূরুল হক ভৈরব উপজেলার নবীপুর গ্রামের মো. গোলাপ মিয়ার ছেলে।
জানা যায়, গত বছরের ২৮ মার্চ কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বাউন্ডারির ভেতরে নূরুল হকের প্রতিপক্ষরা তাকে মারধর করে গুরুতর আহত করে। এর ১০ দিন পর গত বছরের ৭ এপ্রিল নূরুল হক বাজিতপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
পরে নূরুল হককে পরিবারের সদস্যরা ময়নাতদন্ত ছাড়াই তার গ্রামের কবরস্থানে দাফন করেন।
নিহত নূরুল হকের মা রেহেনা বেগম মৃত্যুর ৮ মাস পর বাদী হয়ে গত বছরের ২৯ ডিসেম্বর কুলিয়ারচর থানায় ৭ জনকে আসামী করে একটি মামলা করেন।
মামলায় উল্লেখিত আসামীরা হলেন— কুলিয়ারচরের মোস্তফা, ফারুক মিয়া, আল আমিন, দুলাল মিয়া, নিকলির সিংপুরের কিবরিয়া, ভৈরব শহরের জগনাথপুরের তাছলিমা বেগম এবং তুলাকান্দি গ্রামের গুলজাহান বেগম।
মামলার প্রেক্ষিতে কুলিয়ারচর থানার উপ পরিদর্শক ও তদন্তকারী কর্মকর্তা তাজমুন করিম ২০ দিন আগে কিশোরগঞ্জের আদালতে লাশের ময়না তদন্তের জন্য আবেদন করেন। পরে গত ৩০ জানুয়ারি শুনানি শেষে আদালত লাশ কবর থেকে উত্তোলন করে ময়না তদন্তের আদেশ দেন। আদালতের আদেশে মঙ্গলবার লাশটি কবর থেকে উত্তোলন করা হয়।
মামলার বাদী নিহতের মা রেহেনা বেগম অভিযোগে বলেন, তার ছেলে নূরুল হক প্রতিপক্ষ মোস্তফাসহ কয়েকজনের কাছ থেকে ৩৫ লাখ টাকা পেত। পাওনা টাকা না দেওয়ায় নূরুল হক আদালতে তাদের বিরুদ্ধে মামলাও করেন। আর এ কারণেই তারা সবাই মিলে চক্রান্ত করে তার ছেলেকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। পরে সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। নিহত নূরুল হকের মা এ ঘটনার কয়েক মাস পর ঘটনা জেনে এই মামলা করেছেন বলে উল্লেখ করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশের উপ পরিদর্শক তাজমুন করিম জানান, ছেলে হত্যার ঘটনায় তার মা বাদী হয়ে কুলিয়ারচর থানায় একটি হত্যা মামলা করে। তাই মামলাটি তদন্তের স্বার্থে লাশের ময়না তদন্ত করা জরুরী। এ কারণে আদালতে আবেদন করলে আদালতের আদেশ মোতাবেক আজ কবর থেকে লাশ উত্তোলন করা হয়। এ মামলার ময়না তদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।
ওডি/এমএমএ
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড