যশোর প্রতিনিধি
সবেমাত্র ১৫ মাস বয়সী ছোট মেয়ে মোহনার দাফন সম্পন্ন করেছেন। এরই মধ্যে বিল্লাল সর্দার হাজির হয়েছেন যশোর জেনারেল হাসপাতালে। উদ্দেশ্য বড় মেয়ে মৌয়ের (৭) লাশ নিয়ে তারও দাফনের ব্যবস্থা করবেন।
এমন হৃদয়বিদারক ঘটনা ঘটেছে যশোরের মণিরামপুর উপজেলার দেবীদাসপুর গ্রামে।
সড়ক দুর্ঘটনায় দুই শিশুর মৃত্যুতে বিল্লাল সর্দারের পরিবারসহ ওই এলাকায় চলছে শোকের মাতম।
পেশায় ইটভাটা শ্রমিক বিল্লাল সর্দার সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সকালে যশোর জেনারেল হাসপাতালে সাংবাদিকদের জানান, তিনি ও তার স্ত্রী আমেনা খাতুন মণিরামপুর উপজেলার দেবীদাসপুর গ্রামের ‘পদ্মা ইটভাটায়’ কাজ করেন। তাদের দুই মেয়ে ও এক ছেলে ছিল। ইটভাটায় কাজ করায় পাশেই একটি ছোট কুঁড়েঘরে থাকেন তারা। গ্রামের বাড়ি খুলনা জেলার দাকোপ উপজেলার নালিয়া গ্রামে।
তিনি বলেন গত রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) বিকাল ৪টার দিকে ছোট মেয়ে মোহনাকে কোলে করে মৌ ভাটার অদূরে ঝিকরগাছা-মণিরামপুর সড়কের জামতলার একটি দোকানে যায়। পরে সেখান থেকে ফেরার পথে বেপরোয়া একটি পিকআপ তাদের ধাক্কা দেয়। এ সময় স্থানীয়রা দ্রুত তাদের উদ্ধার করে মণিরামপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে মোহনার মৃত্যু হয়। একই সঙ্গে অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় বড় মেয়ে মৌকে সে সময় যশোর জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। একপর্যায়ে সোমবার সকালে সাত বছর বয়সী মৌও না ফেরার দেশে পাড়ি জমায়।
কান্নাজড়িত কণ্ঠে বিল্লাল সর্দার বলেন, ‘বিকালে ছোট মেয়ের মৃত্যু হলে তার লাশ নিয়ে বাড়িতে যাওয়া হয়। সকালে দাফন শেষ হওয়ার পর ১১টার দিকে বড় মেয়ের লাশ নিতে যশোর জেনারেল হাসপাতালে এসেছি।’
আরও পড়ুন : দৌলতখানে কবর থেকে গৃহবধূর লাশ উত্তোলন
এ ব্যাপারে মণিরামপুর থানার এসআই আব্দুর রহমান দৈনিক অধিকারকে জানান, পিকআপের ধাক্কায় রবিবার মোহনা এবং সোমবার যশোর জেনারেল হাসপাতালে মৌয়ের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। পাশাপাশি ঘাতক পিকআপটি জব্দ করা হয়েছে। তবে এর ড্রাইভার পলাতক রয়েছে।
ওডি/আইএইচএন
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড