নিজস্ব প্রতিবেদক
টঙ্গীতে অসহায় এক পুত্রবধূ থানা পুলিশের সহযোগিতা পেতে মামলা করেছেন। দীর্ঘদিন ধরে তার শ্বশুর যৌন নির্যাতন করে আসছেন বলে অভিযোগ এই নারীর। তার দাবি এসব বিষয়ে পারিবারিক ও সামাজিকভাবে বহুবার বিচার-সালিশ হয়েছে। সব কিছু জেনেও সবাই আমাকে সংসার করার জন্য চাপ দেয় এবং বিভিন্ন প্রলোভন দেখায়। বাধ্য হয়ে পুলিশের কাছে এসেছি। এখানে আসা ছাড়া আর কোনো উপায় নাই বলে জানান এই নারী।
এ ঘটনায় বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) গভীর রাতে শ্বশুর সিদ্দিকুর রহমান ওরফে সিদা পীরকে গ্রেপ্তার করে টঙ্গী পশ্চিম থানা পুলিশ।
মামলার বাদী ওই গৃহবধূ জানান, ঘটনাটি ২০১৭ সালের ২৭ জুন। তখন তার বয়স ১৪ বছর হয়নি। সপ্তম শ্রেণিতে থাকতেই তার বিয়ে হয়। মায়ের সাথে সিদা পীরের টঙ্গীর তিলারগাতির বাড়িতে বেড়াতে আসলে তাকে একটি রুমে আটকে রাখে সিদা। ওই দিন রাতে সিদার মাদকাসক্ত বখাটে ছেলে রাকিবের সাথে জোর করে বিয়ে দেয়া হয়।
১৫ বছর হওয়ার আগেই সে কন্যা সন্তানের মা হয়। বর্তমানে তার বয়স ১৬ বছর। এর মধ্যেই কয়েকবার শ্বশুরের লালশার স্বীকার হয় সে। প্রতিবারই ঘটনা বলায় এবং বিচার চাওয়ায় স্বামী, শাশুড়ি ও ননদসহ সকলে তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছে। এমনকি একবার পুলিশও তাকে উদ্ধার করেছে বলে জানায় এই নারী।
তার বাবা একজন দৃষ্টি প্রতিবন্ধী এবং গরিব। তার শ্বশুর ভণ্ড পীর সিদ্দিকুর রহমান ওরফে সিদা তার মায়ের পীর ভাই।
গরিব ঘরের সন্তান হওয়ায় এবং নিজের শিশু সন্তানের মুখের দিকে তাকিয়ে সংসার করার বহু চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছেন এমন দাবি করে গৃহবধূ বলেন, ‘আমি এখন আর পারছি না। আপনারাই বলেন, আমি কার সাথে সংসার করব? শ্বশুরের সঙ্গে নাকি স্বামীর সঙ্গে?’
ন্যায় বিচার দাবি করে গৃহবধূ বলেন, কোনো অবস্থাতেই আমার পক্ষে এখানে সংসার করা সম্ভব না।
আরও পড়ুন : ৭১ বার পেছাল সাগর-রুনি হত্যার প্রতিবেদন
এ ব্যাপারে টঙ্গী পশ্চিম থানার ওসি ইমদাদুল হকের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে এবং শ্বশুর ভণ্ড পীর সিদ্দিকুর রহমান ওরফে সিদাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ওডি/এএইচ
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড