• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১  |   ২৮ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

মান্দায় গাজরের বাম্পার ফলন

  কাজী কামাল হোসেন, নওগাঁ

১০ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১২:১৫
নওগাঁ
গাজর চাষ (ছবি : দৈনিক অধিকার)

নওগাঁ জেলার মান্দা উপজেলার বিলকরিল্যা মাঠ সেজেছে গাজরের রঙে। এ বছর গাজরের বাম্পার ফলনে কৃষকের হৃদয়ে এনেছে স্বস্তির পরশ। স্বল্প সময়ে ঘুরেছে অনেক চাষির ভাগ্যের চাকা। অসচ্ছল সংসারে ফিরেছে সচ্ছলতা।

সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, উপজেলার কুশুম্বা মসজিদের পশ্চিমে এবং বিলকরিল্যা উচ্চ বিদ্যালয়ের উত্তর দিকে বিশাল মাঠে প্রায় ৯৫ ভাগ জমিতে গাজরের আবাদ হয়েছে। এই মাঠের মাটি বেলে ও দোঁআশ হওয়ায় গাজর চাষে বেশি উপযোগী। তাই এ অঞ্চলের কৃষকরা অন্য ফলনের তুলনায় গাজর চাষের প্রতি ঝুঁকছেন। এতে মুনাফাও বেশি পাওয়া যায়।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, এ উপজেলায় গাজর উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৪০ হেক্টর জমিতে। এর মধ্যে শুধু এক মাঠেই প্রায় ৩৫ হেক্টর জমিতে গাজর চাষ করা হয়েছে।

উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা টুটুল জানান, সেপ্টেম্বর মাস থেকে নভেম্বর মাসে গাজরের বীজ বপনের উত্তম সময়। বীজ বপনের ৭ থেকে ১০ দিন সময়ের মধ্যে অঙ্কুর বের হয়ে ১৫ থেকে ২০ দিনের মধ্যে চারা গাছে পরিণত হয়। সঠিকভাবে পরিচর্যা করা হলে ৭০ থেকে ১০০ দিনের মধ্যে গাজরের বাম্পার ফলন পাওয়া সম্ভব।

তিনি আরও বলেন, গুণগত মানের ফলন পেতে গাজর চাষিদের পরিমাণ মতো বিভিন্ন সারের প্রয়োগ করতে হয়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য গোবর বা জৈব সার, টিএসপি, ইউরিয়া, এসওপি বা এমপি নামে পরিচিত সার অধিক ব্যবহৃত হয়। হেক্টর প্রতি সারের সঠিক মিশ্রণ হলে মাটির উর্বরতা ও গুণাগুণ কয়েক ধাপে বৃদ্ধির পাশাপাশি ফলনের পরিমাণ ক্রমান্বয়ে বাড়ে।

মাঠজুড়ে গাজর চাষ

বিলকরিল্যা এলাকার গাজর চাষি আব্দুল মান্নান জানান, গাজর চাষে হেক্টর প্রতি উৎপাদন হয় ২০ থেকে ২৫ টন। তবে ওই পরিমাণ গাজর উৎপাদনের জন্য সঠিক পন্থায় চাষাবাদ হওয়া উচিত।

তিনি আরও বলেন, রয়েল ক্রস, কোরেল ক্রস, কিনকো সাইটিনে রয়েল, অরেঞ্জ কিং ও স্কারলেট নান্টেস জাতের বীজ গাজর চাষিদের অধিক ফলনের জন্য বেশি জনপ্রিয়।

গাজর চাষি এরশাদ হোসেন বলেন, পাইকারি দাম কেজি প্রতি ৮ থেকে ১০ টাকা হলেও উৎপাদন খরচ কম এবং বাম্পার ফলনের কারণে এ মাঠের সবাই গাজর চাষ করছে।

এই মাঠের গাজরের পাইকারি ক্রেতা হানিফ উদ্দিন বলেন, আমি মূলত এসব গাজর ঢাকার কারওয়ান বাজারে পাঠাই। ওই বাজারে আমার একজন শেয়ার পার্টনার আছে। আমি প্রতিদিন গড়ে তিন ট্রাক মাল পাঠাই।

তিনি আরও বলেন, কৃষকরা সকাল থেকে দুপুরের মধ্যে গাজর জমি থেকে উঠিয়ে আমাদের কাছে বিক্রি করে দেয়। আমরা সেগুলো পরিষ্কার করে বিকাল থেকে সন্ধ্যার মধ্যে ট্রাক লোড করে পাঠালে রাত ১টা থেকে ২টার মধ্যে কারওয়ান বাজারে পৌঁছে যায়। এরপর ভোর ৩টা থেকে ৫টার মধ্যে সব মাল বিক্রি হয়ে যায়।

আরও পড়ুন : সম্ভাবনাময়ী লেখনী পাহাড়ের মানুষের ভাগ্য বদলের অংশীদার : পাচউবো চেয়ারম্যান

স্থানীয় কুশুম্বা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নওফেল আলী মন্ডল বলেন, গোটা উপজেলার প্রায় সব গাজর এখানেই চাষ করা হয়। প্রতি বছরের এই সময় গাজরকে কেন্দ্র করে প্রায় ২ থেকে ৩ মাস এলাকার মানুষের কাজকর্ম বেড়ে যায়।

ওডি/জেএস

আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি দৈনিক অধিকারকে জানাতে ই-মেইল করুন- [email protected] আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড