ঝালকাঠি প্রতিনিধি
ঝালকাঠি সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তানিয়া ফেরদৌসের হস্তক্ষেপে ১২ ঘণ্টার ব্যবধানে বাল্যবিয়ে থেকে রক্ষা পেয়েছে ২ কিশোরী। তারা দুইজনই স্কুল ছাত্রী।
জানা গেছে, সদর উপজেলার নবগ্রাম ইউনিয়নের দাঁড়িয়াপুর গ্রামের জব্বার হাওলাদারের বাড়িতে ঢাকা থেকে ৯ম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক ছাত্রীকে নিয়ে ১৭ বছর বয়সী আলামিন পালিয়ে আসে। আলামিনের নানা জব্বারের সহযোগিতায় গত ৮ ফেব্রুয়ারি দিবাগত রাতে ঐ বাড়িতে বিয়ের আয়োজন করে। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় গুঞ্জন শুরু হয়। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানিয়া ফেরদৌস বিষয়টি জানতে পারেন। পরে ঐ রাতেই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে বাল্যবিয়ে প্রতিরোধ কমিটির সদস্য ও স্থানীয় ইউপি সদস্য দ্বীর্জদাশ ব্যানার্জী বাল্য বিয়ে বন্ধ করেন। পরে প্রেমিক যুগলের অভিভাবকদের ডেকে বাল্যবিয়ে দেবে না মর্মে মুচলেকা রেখে তাদের অভিভাবকদের হাতে তুলে দেন।
অপরদিকে একটি বাল্যবিয়ে প্রতিরোধের ১২ ঘণ্টা যেতে না যেতেই রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) উপজেলার গাভারামচন্দ্রপুর ইউনিয়নের বালিঘোনা আবাসন প্রকল্পের বাসিন্দা শহীদুল ইসলাম বাবুলের ছেলে শফিকুল ইসলামের (১৯) সঙ্গে একই এলাকার বাসিন্দা ৯ম শ্রেণিতে পড়ুয়া ছাত্রীর সঙ্গে পারিবারিকভাবে বিয়ের আয়োজন করে। তাদের বিয়ের আয়োজনের কথা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানিয়া ফেরদৌস গোপন সংবাদের মাধ্যমে জানতে পারেন। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও চৌকিদারের মাধ্যমে বাল্যবিয়ে স্থগিত করা হয়। পরে সেখানেও সন্তানদের অপ্রাপ্ত বয়সে বিয়ে দেবে না মর্মে ছেলে ও মেয়ের অভিভাবকগণ মুচলেকা প্রদান করেন।
আরও পড়ুন : দায়িত্বে অবহেলায় ৫ শিক্ষক বহিষ্কার
এ বিষয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানিয়া ফেরদৌস বলেন, ‘বাল্য বিয়ের কারণে শিশুদের শিক্ষাজীবন বাধাগ্রস্ত হয়। বিশেষ করে কন্যা শিশুদের ওপর প্রভাবটা বেশি পরে। তাই প্রধানমন্ত্রী বাল্যবিয়ে প্রতিরোধে আমাদের সর্বদা দৃষ্টি রাখতে নির্দেশ দিয়েছেন। আর তারই ধারাবাহিকতায় আমি ও আমার প্রশাসন এই উপজেলায় বাল্যবিয়ে প্রতিরোধে কাজ করে যাচ্ছি।’
ওডি/জেএস
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড