বোরো আবাদে ব্যস্ত চাঁপাইনবাবগঞ্জের কৃষকরা

চলতি মৌসুমে বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে বোরো আবাদে ব্যস্ত সময় পার করছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জের কৃষকরা। শীতকে উপেক্ষা করে সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত আবাদে ব্যস্ত তারা। ইতোমধ্যে প্রায় ৫০ ভাগ জমিতে বোরো চাষাবাদ হয়েছে।

এবার ধানের আবাদে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২ লাখ ৯৯ হাজার ৫২ মেট্রিক টন। আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে ভালো ফলনের আশা করছেন জেলা কৃষি বিভাগ।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার ১১ হাজার ৯৯০ হেক্টর জমির বিপরীতে চাষাবাদ হয়েছে ৫ হাজার ৫৭৫ হেক্টর জমিতে, গোমস্তাপুরে ১৪ হাজার ৫৬০ হেক্টরের বিপরীতে ৯ হাজার ৭০৫ হেক্টর জমিতে, শিবগঞ্জে ৭ হাজার ৯৩০ হেক্টরের বিপরীতে ৩ হাজার ২শ হেক্টর জমিতে, নাচোলে ৬ হাজার ৮৮৫ হেক্টরের বিপরীতে ১ হাজার ৫৮৫ হেক্টর ও ভোলাহাটে ৫ হাজার ৪৩৫ হেক্টর জমির বিপরীতে ৩ হাজার ৪৮৫ হেক্টর জমিতে চাষাবাদ করা হয়েছে। এবারে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৪৬ হাজার ৮শ হেক্টরে। গত বছর ৫০ হাজার ৭৮৫ হেক্টর জমিতে আবাদ হয়েছিল। তবে এবার ৩ হাজার ৯৮৫ হেক্টর জমিতে চাষাবাদ কম হয়েছে।

সদর উপজেলার গোবরাতলা ইউনিয়নের ঘুঘুডিমা ও নাচোল উপজেলার নেজামপুর ইউনিয়নের ঘাসুরা এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, মাঠে মাঠে বোরো আবাদে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা।

কৃষক শাহলাল ও সোহরাব আলী জানান, আমন ধানের ফলন কম হওয়ায় এবার বোরো ধানের আবাদ করছেন তারা। কৃষকরা বলছেন, এ ধান আবাদে বাড়তি পানি লাগে। সে ক্ষেত্রে গভীর নলকূপের পানির জন্য ১৫০০-১৬০০ টাকা খরচ হয়। প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে এবার বোরো ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ভালো হবে। এছাড়া সারের দাম কম থাকায় কিছুটা সুবিধা পাওয়া গেছে বলেও জানান কৃষকরা।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের চাঁপাইনবাবগঞ্জের উপপরিচালক মঞ্জুরুল হুদা জানান, বীজের অবস্থা ভালো থাকায় কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। যে ফসলে পানি কম লাগে তার বিকল্প হিসেবে গম, ভুট্টা ও সরিষা চাষাবাদে কৃষকদের উৎসাহিত করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন: সরিষা চাষে স্বাবলম্বী নরসিংদীর আরমান মিয়া

তিনি আরও জানান, এখন পর্যন্ত ২৩ হাজার ৫৫০ হেক্টর জমিতে চাষাবাদ হয়েছে। চলতি মাসের শেষদিন পর্যন্ত আবাদ চলবে। আর উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে প্রায় ৩ লাখ মেট্রিক টন।

ওডি/এসএএফ