• বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১  |   ২৮ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

মাদরাসার মাঠে ঠিকাদারের নির্মাণ সামগ্রী, দুর্ভোগে পরীক্ষার্থীরা 

  তালতলী প্রতিনিধি,বরগুনা

০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১৮:৪২
মাদরাসার মাঠ দখল
মাদরাসার মাঠে বালু ও পাথর ( ছবি : দৈনিক অধিকার )

বরগুনার তালতলীতে ছালেহিয়া ইসলামিয়া আলিম মাদরাসায় মাঠ দখল করে রাস্তার নির্মাণ সামগ্রী রেখেছেন বাদশা নামে এক ঠিকাদার। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছে দাখিল পরীক্ষার্থী ও শিক্ষকরা।

মাদরাসা সূত্রে জানা যায়, এই ওই মাদরাসাকে দাখিল পরীক্ষার কেন্দ্র করা হয়েছে। সেখানে উপজেলার বিভিন্ন মাদরাসার ৪১৪ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে। কিন্তু মাদরাসার মাঠে স্তুপ করে রাখা হয়েছে রাস্তার নির্মাণ কাজের পাথর ও বালুসহ অন্যান্য সামগ্রী।

স্থানীয়রা জানায়, দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মাঠ দখল করে ঠিকাদারি ব্যবসা করছেন ঠিকাদার বাদশা। এরপর থেকেই এই মাদরাসার পাঠদান স্বাভাবিক গতিতে হয়নি।

রবিবার (৯ ফেব্রয়ারি) সকাল ১০টায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, তালতলীতে ছালেহিয়া ইসলামিয়া আলিম মাদরাসায় দাখিল পরীক্ষার কেন্দ্রের মাঠজুড়ে বালু ও পাথর রাখা হয়েছে। যেখানে পরিক্ষার্থীরা ভালোভাবে চলাফেরা করতে পারছে না। এ বিষয়ে মাদরাসার সুপার হারুন-অর রশিদের কাছে শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকরা অভিযোগ করলেও তিনি তা আমলে নেননি বলে জানায় শিক্ষার্থীরা।

নাম প্রকাশ না করা শর্তে এক শিক্ষক অভিযোগ করে বলেন, মাদরাসার সুপার ও ঠিকাদার ক্ষমতার অপব্যবহার করে মাদরাসার মাঠ দখল করে ঠিকাদারি ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন। এ বিষয়ে অভিযোগ করলেও তারা কর্ণপাত করছেন না।

একাধিক শিক্ষার্থী জানায়, নির্মাণ সামগ্রী বোঝাই ট্রাকের শব্দে ক্লাসের ভেতর কিছু শোনা যাচ্ছে না। পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে এসব কাজ বন্ধ করা হয়।

পরীক্ষার্থীদের অভিভাবকরা জানায়, পরীক্ষা কেন্দ্রের মাঠে পাথর ও বালু রেখে পুরো মাঠ দখল করে ব্যক্তিগত ব্যবসা চালাচ্ছেন ঠিকাদাররা। এই পাথর ও বালুতে যে কোনো সময় পরীক্ষার্থীরা বড় ধরনের দুর্ঘটনার শিকার হতে পারে। তাই দ্রুত সময়ের মধ্যে এসব বালু ও পাথর সরিয়ে নেওয়ার অনুরোধ করছি।

এ বিষয়ে ঠিকাদার বাদশা বলেন, রাস্তার কিছু কাজ চলছে, তাই বালু ও পাথরগুলো মাদরাসার মাঠে রাখা হয়েছে। তবে দুই একদিনের মধ্যে এসব নির্মাণ সামগ্রী সরিয়ে নেওয়া হবে। বালু ও পাথরের জন্য পরীক্ষার কেন্দ্রে চলাচলের বিগ্ন ঘটার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি মুঠোফোনটি কেটে দেন।

আরও পড়ুন: সেই হেলথ প্রোভাইডারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সুপারিশ

এ বিষয়ে মাদরাসার সুপার ও হল সচিব হারুন অর রশিদ বলেন, বিষয়টির জন্য আমি দুঃখিত। ঠিকাদার বাদশাকে ডিসেম্বরের মধ্যে মাঠে রাখা বালু ও পাথরগুলো সরিয়ে নিতে বললেও তিনি নেননি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) সেলিম মিঞা বলেন, বালু ও পাথরের জন্য আমি শনিবার পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শনে যেতে পারিনি।

ওডি/এসএএফ

আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি দৈনিক অধিকারকে জানাতে ই-মেইল করুন- [email protected] আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড