সেই হেলথ প্রোভাইডারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সুপারিশ

ফেনী সদর উপজেলায় স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে হেলথ প্রোভাইডারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সুপারিশ করেছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। অভিযুক্তের নাম লুৎফুর রহমান।

রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) এ তথ্য নিশ্চিত করেছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ধর্ষণ চেষ্টার ঘটনায় গঠিত তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি ইতোমধ্যে বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। প্রতিবেদনে লুৎফুর রহমানকে অভিযুক্ত করে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হয়েছে। ঘটনার পরদিন তাকে কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে প্রত্যাহার করে সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সংযুক্ত করেছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ।

এ দিকে ঘটনার পর ছাত্রীর মা বাদী হয়ে মামলা দায়েরের পর থেকে লুৎফুর রহমান পলাতক বলে জানিয়েছেন ফেনী মডেল থানার ওসি মো. আলমগীর হোসেন। তিনি জানান, আসামিকে গ্রেপ্তারে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।

জেলা সিভিল সার্জন ডা. আব্দুল মোমেন জানান, তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন বিভাগীয় স্বাস্থ্য বিভাগে পাঠানো হয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ নেবে।

উল্লেখ্য, মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সদর উপজেলার পাঁচগাছিয়া ইউনিয়নের ডমুরিয়া কমিউনিটি ক্লিনিকে অসুস্থ এক ছাত্রীকে নিয়ে আসে ৪র্থ শ্রেণির এক ছাত্রী। এ সময় হেলথ প্রোভাইডার অসুস্থ ছাত্রীকে কিছু ওষুধ ও ব্যবস্থাপত্র দিয়ে চলে যেতে বলেন এবং তার সঙ্গে থাকা অন্য ছাত্রীকে কথা আছে বলে কৌশলে ক্লিনিকে রেখে দেন।

আরও পড়ুন: কক্সবাজারে সাড়ে ৭৯ লাখ টাকার ইয়াবা উদ্ধার

একপর্যায়ে ওই ছাত্রীকে ক্লিনিকের মধ্যে ধর্ষণের চেষ্টা করে হেলথ প্রোভাইডার। তখন ওই ছাত্রীর চিৎকারে আশাপাশের মানুষ ছুটে এসে ক্লিনিক ঘেরাও করে এবং হেলথ প্রোভাইডারকে আটকে রাখে। ঘটনাটি জানার পর একজন স্বাস্থ্য পরিদর্শকের নেতৃত্বে চার সদস্যের একটি টিম দ্রুত ঘটনাস্থলে আসে।

ওডি/এসএএফ