কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলায় মাদরাসা ছাত্রীকে পৈশাচিকভাবে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে নাজমুল ইসলাম নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে। সপ্তম শ্রেণির ওই ছাত্রীর শরীরের বিভিন্ন স্থানে বিকৃত কামড় ও ক্ষত-বিক্ষতের চিহ্ন রয়েছে।
শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে অভিযুক্ত নাজমুলসহ দুইজনের বিরুদ্ধে ফুলবাড়ী থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করেছেন নির্যাতিতা ছাত্রীর খালা।
এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে এ ঘটনা ঘটলেও অভিযুক্তরা প্রভাবশালী হওয়ায় মামলা করাতে বিলম্ব হয়।
স্থানীয়রা জানায়, ফুলবাড়ী উপজেলার কাশিপুর ইউনিয়নের নাজমুল ইসলাম প্রায়ই ওই ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করত। এ নিয়ে এলাকাবাসী ও মেয়েটির পরিবার নাজমুলের পরিবারের কাছে একাধিকবার অভিযোগ করেও কোনো কাজ হয়নি। মেয়েটির বাবা-মা ভারতের দিল্লীতে একটি ইটভাটায় কাজ করে। সেখানেই তারা দীর্ঘদিন ধরে অবস্থান করছেন। ভুক্তভোগী মেয়েটি তার খালার বাসায় থেকে স্থানীয় একটি মাদরাসায় সপ্তম শ্রেণিতে পড়াশোনা করছে।
ঘটনার দিন বিকালে খালার অনুপস্থিতিতে নাজমুল বাড়িটিতে প্রবেশ করে। এ সময় মেয়েটি টিভি দেখছিল। এই সুযোগে মেয়েটিকে একাধিকবার পাশবিক নির্যাতনে রক্তাক্ত করে। পরে মেয়েটি অজ্ঞান হয়ে পড়লে নাজমুল সেখান থেকে পালিয়ে যায়। পরে মেয়েটির খালাসহ পরিবারের লোকজন তাকে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য বাইরে নেওয়ার চেষ্টা করলে নাজমুল ও তার পরিবার এতে বাধা দেয়। মেয়েটির পরিবার যাতে মামলা করতে না পারে এবং ঘটনাটি জানাজানি না হয় সে জন্য নাজমুলের বাবা-চাচারা প্রকাশ্যে বাধা দেয়। পরে মেয়েটির অবস্থা আরও অবনতি হলে তাকে শুক্রবার রাত ১১টার দিকে ফুলবাড়ি স্বাস্থ্য কপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে সেখান থেকে রাতেই তাকে কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়।
আরও পড়ুন: মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে বাবা আটক
এ ব্যাপারে ফুলবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ রাজীব কুমার রায় জানান, শনিবার দুপুরে ওই শিক্ষার্থীর খালা রেজিয়া বেগম বাদী হয়ে ধর্ষক নাজমুলসহ আরও একজনের নামে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করেছেন। আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
ওডি/এসএএফ
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড