তারেক রহমান, চাঁপাইনবাবগঞ্জ
চাঁপাইনবাবগঞ্জে পদ্মার ধু-ধু বালুচরে এবার সূর্যমুখী ফুলের বাম্পার ফলন হয়েছে। এতে সূর্যমুখী ফুলের সঙ্গে সঙ্গে হাসি ফুটেছে কৃষকের মুখেও।
জেলায় এবারই প্রথম পরীক্ষামূলকভাবে সূর্যমুখীর চাষ করে সফল হয়েছে কৃষি বিভাগ।
এরই ধারাবাহিকতায় শিবগঞ্জ উপজেলার ছত্রাজিতপুর ইউনিয়নের কমলাকান্তপুর এলাকার পদ্মার চরে মোট ছয় বিঘা জমিতে বপন করা হয় সূর্যমুখী ফুলের বীজ। স্থানীয় কৃষক আবু সুফিয়ান ও আবদুর রাকিব উপজেলা কৃষি দপ্তর থেকে বীজ সংগ্রহ করে এই সূর্যমুখী চাষ করেছেন।
তারা জানান, পদ্মার চরের জমিতে মূলত মাষকলাই, সরিষা ও ধান চাষ করা হয়। তাতে ভালো ফলন না হওয়ায় তারা শিবগঞ্জ উপজেলা কৃষি বিভাগের কর্মকর্তাদের শরণাপন্ন হন। পরে তাদের পরামর্শেই কৃষক আবু সুফিয়ান ও আবদুর রাকিব বিনামূল্যে ৬ কেজি বীজ নিয়ে মোট তিন বিঘা জমিতে সূর্যমুখী ফুলের চাষ করেন।
কৃষক আবু সুফিয়ান ও আবদুর রাকিব বলেন, ‘পানি ছাড়া জমিতে তেমন কিছুই খরচ করতে হয়নি। বীজ ও সার কৃষি বিভাগ বিনামূল্যে সরবরাহ করেছে। তাতে ফুলের বাম্পার ফলন হয়েছে। আশা করছি প্রতি বিঘা জমিতে ৯ থেকে ১০ মণ বীজ পাওয়া যাবে।’
জানা গেছে, উৎপাদিত বীজ মনপ্রতি সাড়ে ৩ থেকে ৪ হাজার টাকা দরে কিনে নেবে কৃষি বিভাগ। ফলে ভালো দাম পাওয়ায় সামনের মৌসুমে বেশি করে সূর্যমুখীর চাষ করার কথা ভাবছেন কৃষকরা।
এ দিকে, চাঁপাইনবাবগঞ্জের চরাঞ্চলে প্রথমবারের মতো সূর্যমূখী ফুল চাষ হওয়ায় আনন্দিত স্থানীয়রা। প্রতিদিন দূর-দূরান্ত থেকে এই ফুলের মাঠ দেখতে ছুটে আসছেন অনেকেই।
আরও পড়ুন : খেয়া নৌকাই ভরসা ১০ গ্রামের মানুষের
এ ব্যাপারে কৃষি বিভাগের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান দৈনিক অধিকারকে বলেন, ‘পদ্মার বুকে সূর্যমুখী চাষ হবে এটা কেউ আগে ভাবতেও পারেনি। আমরা পরীক্ষামূলকভাবে সূর্যমুখী চাষ করে সফলতা দেখতে পাচ্ছি। এতে কৃষকরাও লাভবান হবেন। এই ফুলের সঙ্গে চাষ হচ্ছে মধু। কৃষকদের উৎপাদিত সূর্যমুখী বীজ আমরাই ক্রয় করে অন্য কৃষকদের মধ্যে বিতরণ করব।’
ওডি/আইএইচএন
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড