গাইবান্ধা প্রতিনিধি
আঞ্চলিক একটি ছড়া আছে 'স্বাদে ভরা রসমঞ্জুরীর ঘ্রাণ, চরাঞ্চলের ভুট্টা-মরিচ গাইবান্ধার প্রাণ'। গাইবান্ধা জেলার ৩টি প্রসিদ্ধ পণ্যের মধ্যে রসমঞ্জুরী একটি। জেলার ঐতিহ্যবাহী ও সুস্বাদু মিষ্টিজাতীয় খাবারের নাম রসমঞ্জুরী। এই বিশেষ মিষ্টির সুনাম এখন দেশে-বিদেশে ছড়িয়ে পড়েছে। শুধু দেশে নয় বিদেশেও এ জেলার সুস্বাদু রসমঞ্জুরী পাওয়া যায়।
গাইবান্ধা শহরের সাকুর্লার রোডে রমেশ চন্দ্র ঘোষ নামে এক ব্যক্তি ১৯৪০ সালে এই মিষ্টির উৎপাদন শুরু করেন। বর্তমানে শহরের প্রায় সব মিষ্টির দোকানে এ রসমঞ্জুরী পাওয়া যায়। এ পণ্য জেলায় প্রসার ঘটিয়ে দেশ বিদেশে খ্যাতি লাভ করেছে।
দুধের ছানা আর চিনির সঙ্গে ময়দা মিশিয়ে গুটি তৈরি করে অটোমেটিক মেশিনে গোলাকৃতি করা হয়। দুধ ঘন করে, সেই ঘন দুধের সঙ্গে গুটি মিশিয়ে তৈরি হয় সুস্বাদু রসমঞ্জুরী।
ক্রেতারা বলেন, গাইবান্ধা শহরের এ দোকান অনেক পুরাতন। বিশেষ করে এই দোকানের রসমঞ্জুরী শহর ও জেলাবাসীর কাছে অনেক প্রিয়। এখন এটা জেলার ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির অংশ হয়ে গেছে। বাড়ির বিভিন্ন অনুষ্ঠানে রসমঞ্জুরী পরিবেশন করতেই হয়। আমাদের পূর্বপুরুষ থেকে শুনে আসছি এর সুনাম।
রমেশঘোষ দোকানের ব্যবস্থাপক রমেশ বলেন, আমরা নিজের হাতে রসমঞ্জুরী তৈরি করি। দোকানে ৬০ থেকে ৭০ বছরের পুরনো কারিগর কাজ করে। আমাদের রসমঞ্জুরী সুস্বাদু হয়ে থাকে। অন্য কেউ এটা তৈরি করতে পারবে না। নর্থ বেঙ্গলের মধ্যে আমরাই প্রথম। এই রসমঞ্জুরী বিক্রি অনেক ভালো হয়।
চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি মোকছুদুর রহমান শাহান বলেন, স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু প্রিয় ছিল গাইবান্ধার রসমঞ্জুরী। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তৎকালীন ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীকে উপহার দিয়েছিলেন। ইন্দিরা গান্ধী খেয়ে ঢাকাতে প্রসংশা করেছিলেন। বিশ্বব্যাপী খ্যাতি রয়েছে এ রসমঞ্জুরীর।
আরও পড়ুন : নবজাতককে ফেলে মায়ের পলায়ন, ৪ যুবক গ্রেপ্তার
বর্তমানে এ রসমঞ্জুরী কারিগরদের প্রশিক্ষণের আওতায় আনা দরকার। এর মাধ্যমে খাবারকে আরও সুস্বাদু এবং আকর্ষণীয় করা যাবে। তাহলে বিশ্বে প্রসিদ্ধ একটি খাবার হিসেবে প্রচার লাভ করবে বলে মনে করেন স্থানীয়রা।
ওডি/এএইচ
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড