শাহারিয়ার রহমান রকি, ঝিনাইদহ
যে কোনো দিবস কিংবা উৎসবে ফুল ছাড়া যেন কিছু ভাবাই যায় না। তা যদি হয় বিশ্ব ভালোবাসা দিবস, বসন্ত কিংবা আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস তাহলে তো কথাই নেই। আর সামনে আসন্ন এসব দিবসকে ঘিরে শেষ মূহূর্তের ফুল পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন ঝিনাইদহের ফুল চাষিরা।
কৃষি বিভাগের তথ্যে, চলতি মৌসুমে এখন পর্যন্ত জেলায় ফুলের আবাদ হয়েছে ২০৪ হেক্টর জমিতে, এর মধ্যে সদর উপজেলাতে ২৭, কালীগঞ্জে ৩০, কোটচাঁদপুরে ১৫ এবং মহেশপুরে ১৩৬ হেক্টর জমিতে। ফুলের এ চাষ আরও বৃদ্ধি পাবে বলছে কৃষি বিভাগ।
জেলার মাটি ও আবহাওয়া ফুল চাষের জন্য উপযোগী, খরচও হয় কম, তবে লাভ দ্বিগুণ। তাইতো এখানে দিন দিন বাড়ছে গাঁদা, জারবেরা, গোলাপ, রজনীগন্ধাসহ অন্যান্য ফুলের আবাদ। সাধারণ সময় এসব ফুল চাষিদের লাভের পরিমাণ কিছু কম হলেও বিভিন্ন উৎসব কিংবা দিবসকে ঘিরে বাড়তি লাভের আশায় থাকে বাড়তি প্রস্তুতি।
কালীগঞ্জ উপজেলার ত্রিলোচনপুর এলাকার ফুল চাষি সরোয়ার জানান, মালিকের জমিতে কাজ করি। আমাদের বাগানে তিন বিঘায় জারবেরা ফুল রয়েছে, এর মধ্যে কালার আছে প্রায় ১১ প্রকার। সামনে ভালোবাসা দিবস, একুশে ফেব্রুয়ারি তাই এখন গাছের বাড়তি পরিচর্যা করছি। ছোট ঘাস পরিষ্কার করে নিয়মিত পানি সেচ দেওয়া হচ্ছে। এতে করে এখন যে কুড়ি এসেছে তা থেকে যে ফুল হবে তার মান হবে অনেক ভালো। তখন প্রতি পিস বিক্রি হবে গড়ে ১৫ থেকে ২০ টাকা। এতে লাভ হয় অনেক বেশি।
কোটচাঁদপুর এলাকার গাদা ফুল চাষি আয়ুব হোসেন জানান, আমার প্রায় দেড় বিঘা জমিতে ফুল আছে। এখন ওষুধ ছিটাচ্ছি। এতে করে ফুলে পোকা লাগবে না, রং ভালো থাকবে, মানও ভালো হবে।
সদর উপজেলার গান্না বাজার ফুল ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি দাউদ হোসেন দৈনিক অধিকারকে জানান, এক সপ্তাহ পর থেকেই ফুলের চাহিদা বাড়বে কয়েকগুণ। আমরাও সেভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছি। এ সময় অন্তত কোটি টাকার ফুল বিক্রি হবে। এতে চাষি ব্যবসায়ী উভয়ই লাভবান হবে। কিন্তু ফেরি ঘাটে জ্যামের কারণে ঢাকা, চট্টগ্রাম, কুমিল্লাসহ অন্যান্য স্থানে ঠিক সময় মাল পাঠাতে না পারার অনেক লোকসান হয়। প্রশাসন যদি ফুলবাহী গাড়িকে একটু আগে পারাপারের ব্যবস্থা করে দেয় তাহলে আমাদের অনেক সুবিধা হবে।
আরও পড়ুন : ফেনীতে স্বাস্থ্য বিভাগের ৪ শতাধিক পদ শূন্য
ঝিনাইদহ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃপাংশু শেখর বিশ্বাস দৈনিক অধিকারকে জানান, শেষ মুহূর্তের ফুল পরিচর্যায় চাষিদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ প্রদানের পাশাপাশি নিয়ম মেনে সঠিক মাত্রায় ওষুধ ছিটাতে বলা হচ্ছে। ফেরি ঘাটে ফুলবাহী গাড়িকে আগে পারাপারের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট জেলার প্রশাসন ও এ কাজের সাথে জড়িতদের সাথে যোগাযোগ করা হয়েছে। তাদের পক্ষ থেকে ইতিবাচক আশ্বাস মিলেছে।
ওডি/জেএস
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড