ফরিদপুর প্রতিনিধি
মাদারীপুর সদর হাসপাতালের সাবেক ক্যাশিয়ার টিএম কামরুল হাসানের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়েরকৃত আরও একটি অর্থ আত্মসাতের মামলায় বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দিয়েছেন আদালত।
বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) বিকালে ফরিদপুরের বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. মতিয়ার রহমান এ রায় ঘোষণা করেন।
মাদারীপুরের লক্ষ্মীগঞ্জ গ্রামের বাদশা তালুকদারের ছেলে টিএম কামরুল হাসান সর্বশেষ শরীয়তপুর জেলার সিভিল সার্জন কার্যালয়ের হিসাবরক্ষক হিসেবে কর্মরত থাকাকালীন আত্মগোপনে যান। তিনি এখন পলাতক রয়েছেন।
আদালত সূত্র জানায়, মাদারীপুর সদর হাসপাতালে কর্মরত থাকাকালীন হাসপাতালের ৫২ হাজার ৬৫৬ টাকা আত্মসাতের দায়ে তার বিরুদ্ধে বিশেষ জজ আদালতে এ মামলা দায়ের করে দুদক। মামলা নম্বর- ৬১/১৫। দুদকের পক্ষ থেকে গত ২০০২ সালের ১৬ জুলাই মাদারীপুর থানায় মামলাটি দায়ের করা হয়। মাদারীপুর থানায় মামলা নম্বর- ২৫/০২। দুদকের পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট কুবাদ হোসেন।
অ্যাডভোকেট কুবাদ হোসেন জানান, টিএম কামরুল হাসানের বিরুদ্ধে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় দ্য পেনাল কোড, ১৮৬০ এর ৪০৯ ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ৫২ হাজার ৬৫৬ টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং একই আইনের ৪৬৭ ধারায় তাকে দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং ১৯৪৭ এর ৫ (২) ধারায় তাকে দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়। মামলায় রায়ের অপরাধের সাজা একত্রে গণনা করা হবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন : সুনামগঞ্জে বিরোধের জেরে রেস্টুরেন্টে হামলা, আহত ৩
প্রসঙ্গত, এর আগেও টিএম কামরুল হাসানের বিরুদ্ধে দুদকের দায়েরকৃত মামলায় সাজা প্রদান করা হয়।
ওডি/জেএস
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড