লামায় এক রাতে ৮ বসতঘরে দুর্ধর্ষ ডাকাতি

বান্দরবানের লামা উপজেলায় এক রাতে ৮ বসতঘরে দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে।

মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাতে উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের চাক কাটার ঝিরি পাড়ায় এ ডাকাতির ঘটনা ঘটে।

এ সময় ডাকাতরা ঘরে রক্ষিত নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকারসহ প্রায় লক্ষাধিক টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়।

এর আগে ২০১৯ সালের ১৮ নভেম্বর দিবাগত রাতে ইউনিয়নের পেতাইন্যার ঝিরির চারটি বসতঘর ও ২৫ নভেম্বর দিবাগত রাতে ফুটেরঝিরির জসিম উদ্দিনের বসতঘরে ডাকাতির ঘটনা ঘটে বলে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা জানান। এছাড়া গত তিন মাসে একের পর এক ডাকাতির ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।

সূত্র জানায়, মুখোশ পরিহিত নয় থেকে ১০ জনের একদল ডাকাত অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে মঙ্গলবার দিবাগত গভীর রাতে ইউনিয়নের চাক কাটার ঝিরিপাড়ায় হানা দেয়। ডাকাতরা একে একে আমান উল্লাহ, মো. জাকের হোসেন, মো. আবদুল্লাহ, আজিজুল হক, আবু বক্কর, সুরত আলম, জহুরা খাতুন ও আবু নাছেরের বসতঘরে ঢুকে ঘরে রক্ষিত নগদ লক্ষাধিক টাকাসহ ১৪টি মোবাইল সেট লুটে নেয়। পরে খবর পেয়ে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে পালিয়ে যায় ডাকাতরা।

এ বিষয়ে স্থানীয় বীর মুক্তিযোদ্ধা এস কে এইচ সব্বির আহমদ বলেন, গত তিন মাসে কুমারী এলাকার বিভিন্ন স্থানে একের পর এক ডাকাতির ঘটনায় স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে ডাকাত আতঙ্ক বিরাজ করছে। এলাকায় পুলিশি টহল জোরদার জরুরি।

বসতঘরে ডাকাতির ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. জাকের হোসেন মজুমদার বলেন, ডাকাতির ঘটনা পুলিশকে জানানো হয়েছে।

আরও পড়ুন : টাঙ্গাইলে কলেজছাত্রকে কুপিয়ে হত্যা

এ বিষয়ে লামা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) মো. আমিনুল হক বলেন, ডাকাতি ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ওডি/এএসএল