আরিফ সবুজ, নোয়াখালী
এক হলুদ দেশের হলদে পরী আসে সদা মনে, সে শিশির ভেজা শুভ্র গোলাপ আমার মন কাননে। সে হিম রজনীর জ্যোৎস্না মাখা সিক্ত সরষে ফুল, সে নীল জোনাকি, গানের পাখি বাদলা হাওয়ার দোল।
কবির এ কথার বাস্তবতার রূপ মিলেছে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার মুছাপুর এলাকায়। ছোট ফেনী নদীর দুকুল জুড়ে যে দিকে তাকাবেন হৃদয় ছুঁয়ে যাবে (সরষে ফুলের) হলুদের মনোমুগ্ধকর দৃশ্যে।
সরেজমিনে কথা হয় সরিষা চাষি মো. আব্দুর রাজ্জাকের সঙ্গে। তিনি বলেন, এলাকার অনেকের সঙ্গে তিনিও সরিষা চাষে আগ্রহী হয়েছেন। তিনি এবার দুই বিঘা জমিতে সরিষা চাষ করেছেন। ফসলের বর্তমান অবস্থা অনুযায়ী আট থেকে ১০ মণ সরিষার ফলন পাওয়া যাবে বলে জানান আব্দুর রাজ্জাক।
একই এলাকায় চাষি মো. আব্দুর রহমান জানান, এবার প্রাথমিকভাবে পাঁচ বিঘা জমিতে সরিষা চাষ করেছি। এখন পর্যন্ত সরিষার অবস্থা ভালো রয়েছে। তবে উপজেলা কৃষি অফিসের ভালো পরামর্শ পেলে আমরা আরও অধিক পরিমাণ জমিতে সরিষা চাষ করতাম। তিনি জানান, এবার প্রায় ৪০ হাজার টাকার মতো সরিষা বিক্রি করতে পারবেন।
সরিষা ক্ষেত দেখতে নোয়াখালীর বিভিন্ন উপজেলা থেকে লোকজন আসেন কোম্পানীগঞ্জের মুছাপরে। নুর উদ্দিন মুরাদ নামে কোম্পানীগঞ্জের স্থানীয় এক সংবাদ কর্মী জানান, জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে মুছাপুর সিবিচ দেখার মতো সরিষা ক্ষেত দেখতেও ভিড় জমান দর্শনার্থীরা। মুছাপুর সিবিচের সৌন্দর্যকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে চাষিদের সরষে ক্ষেতগুলো।
আরও পড়ুন : সিরাজগঞ্জে মসজিদ থেকে বৃদ্ধের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা পুষ্পেন্দু বড়ুয়া জানান, এবার অনেক কৃষকই সরিষা চাষ করার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেছিল। কিন্তু সময়মতো চাষাবাদস্থল উপযোগী ছিল না বলে অনেক কৃষক সিদ্ধান্ত বদলে মুগ, ভুট্টা, চিনা বাদাম, সূর্যমুখী ও গম চাষ করেছেন। তবে লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী ২৫ হেক্টর জমিতে যে সরিষা চাষ করা হয়েছে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবার সরিষার বাম্পার ফলন হবে বলে মনে করেন তিনি।
ওডি/এএসএল
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড