আরফাত হোসাইন, রাউজান
চট্টগ্রামের রাউজানে মাঠে মাঠে সরিষা ফুলের হলুদ সমারোহে নজর কাড়ছে বিভিন্ন এলাকা। উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে এবার সরিষার আবাদ হয়েছে। অল্প পুঁজিতে কম সময়ের মধ্যে ফলন ভালো ও লাভ বেশি তাই দিনদিন সরিষা চাষে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের। এবার উপজেলার চিকদাইর, নোয়াজিষপুর, ডাবুয়া, হলদিয়া, রাউজান সদর, উরকিরচর, বাগোয়ান, পশ্চিম গুজরা, বিনাজুরী, কদলপুর ইউনিয়ন ও পৌর এলাকার বিস্তীর্ণ এলাকায় সরিষার চাষাবাদ হয়েছে।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, দেশে ১৫ জাতের সরিষার চাষ করা হয়ে থাকে। তবে রাউজানে বারি-১৪ জাতের ৪০ হেক্টর, বারি-১৫ জাতের ৫৫ হেক্টর, বিনা-৯ জাতের ৫ হেক্টর ও টরি-৭ জাতের ৫ হেক্টর- মোট ১০৫ হেক্টর জমিতে সরিষার আবাদ করা হয়েছে। যা গত বছর ছিল ৭০ হেক্টর। প্রতি আড়াই কেজি সরিষা থেকে এক কেজি সরিষার তেল পাওয়া যায়। চাষাবাদের ৯০ দিনের মধ্যে সরিষার ক্ষেত থেকে ফলন পাওয়া যায়। বারি-১৫ জাতের সরিষা তেলের উৎপাদনের জন্যে খুব ভালো। রাউজানে তেল উৎপাদনের জন্য দুইটি ঘানি রয়েছে। তেল উৎপাদনের পর সরিষার বাকি অংশ থেকে গরুর খাবার খৈল তৈরি হয়। এছাড়া সরিষা ফুল থেকে ভালো মধু আহরণ করা যায়। যার জন্য রাউজানে সরিষা ক্ষেতে চারটি মৌ বক্স বসানো হয়েছে। সরিষা থেকে কাসুন্দি ও শাক হিসেবে রান্না করে খাওয়া যায়।
কৃষক মো. রফিক জানান, আমন ধানের মৌসুম শেষে তিনি সরিষার চাষ করেছেন। খুব কম সময়ের মধ্যে সরিষা ঘরে তোলা যায়। বছরব্যাপী সরিষা বিক্রি করা যায়। নষ্ট হওয়ার ঝুঁকিও কম।
আরেক চাষি মো. সাহাবুদ্দিন জানান, শীতকালীন শাকসবজির পাশাপাশি তিনি সরিষার আবাদ করেছেন। বিগত কয়েক বছর ধরে তিনি এ চাষে মনোনিবেশ করেন।
আরও পড়ুন : হাটহাজারীতে আগুনে পুড়ে ছাই বসতঘর
রাউজান উপজেলা উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা (উন্নয়ন শাখা) সঞ্জিব বড়ুয়া সুশীল জানান, চলতি বছর রাউজানে ১০৫ হেক্টর জমিতে সরিষার আবাদ হয়েছে। কম খরচে ভালো ফলন হয় তাই সরিষা চাষে আগ্রহ বাড়ছে। কৃষি অফিস থেকে বিভিন্নভাবে সহায়তা করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
ওডি/জেএস
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড