শাকিল মুরাদ, শেরপুর
শেরপুরের সীমান্তবর্তী গারো পাহাড়ে দীর্ঘদিন ধরে বিশুদ্ধ পানির সংকট। দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় গভীর নলকূপ না থাকায় খাবার পানির অভাব মেটাতে তারা পাহাড়ের ঝরণার বালি ও ময়লাযুক্ত পানি পান করছেন। এতে এলাকায় প্রায় শিশু ও বয়স্কদের ডায়রিয়া, আমাশয়সহ পানিবাহিত রোগ লেগেই থাকে।
ভারতের মেঘালয় রাজ্য ঘেঁষা শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলা। এর শেষ সীমানাজুড়ে গারো পাহাড়। এখানে প্রায় ১০টি গ্রামে ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠীদের বসবাস। তাদের বেশিরভাগ বাড়িঘর পাহাড়ের টিলায়। পাহাড়ি জনপদের গ্রাম দিঘলাকোনা, গারোপাড়া, সোমনাথপাড়া ও হারিয়াকোনা গ্রামে পানির সংকট দীর্ঘদিন ধরে।
দিঘলাকোনার রবেয়া ম্রং বলেন, আমাদের টিউবওয়েল থেকে আগে পানি আসত এখন পানি আসে না। তাই টিলার ওপর থেকে নেমে ঝরণার বালি ও ময়লাযুক্ত পানি খাবারের জন্য ব্যবহার করি। আবার অনেকেই ঝরণার পানিতে গরু গোসল করায়। এরপরও ঝরণার পানি আমাদের একমাত্র ভরসা।
বেসরকারি সংস্থা কারিতাসের আইসিডিপি প্রকল্পের এক জরিপে জানা যায়, দিঘলাকোনা, গারোপাড়া, সোমনাথপাড়া ও হারিয়াকোনা গ্রামগুলো পাশাপাশি। এসব গ্রামে প্রায় দেড়শ পরিবার বসবাস করছে। প্রায় বাড়িতেই টিউবওয়েল রয়েছে। কিন্তু কোনো টিউবওয়েলে পানি আসে না। তাই তাদের ঝরণার পানি পান করতে হচ্ছে।
আদিবাসী সংগঠনের চেয়ারম্যান প্রাঞ্জল এম সাংমা বলেন, ভূগর্ভে পানির স্তর নিচে নেমে গেছে। তাই এখন আর টিউবওয়েলে পানি আসছে না। এমনকি গভীর নলকূপ স্থাপন করা সম্ভব হচ্ছে না।
আরও পড়ুন : ভারত থেকে ৬টি ঘোড়া আমদানি করল বাংলাদেশ পুলিশ
শ্রীবরদী ও ঝিনাইগাতী উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলীর দায়িত্বে থাকা উপসহকারী প্রকৌশলী মনিরুজ্জামান বলেন, ভূগর্ভে পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় সাধারণ টিউবওয়েল থেকে পানি পাওয়া যাচ্ছে না। তবে এসব এলাকায় গভীর নলকূপ স্থাপন করলে হয়তো পানি পাওয়া যেতে পারে। আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করছি।
ওডি/জেএস
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড