রাজশাহী প্রতিনিধি
বোর্ডসভা না করেই ছয়জন কর্মকর্তাকে পদোন্নতি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মকবুল হোসেনর বিরুদ্ধে।
গত ১৫ জানুয়ারি চেয়ারম্যান স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে পঞ্চম গ্রেড থেকে সরাসরি সপ্তম গ্রেডে তাদের পদোন্নতির আদেশ জারি করা হয়। এ নিয়ে রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান ও সচিব পরস্পর বিরোধী বক্তব্য দিয়েছেন।
পদোন্নতি পাওয়া সৌভাগ্যবান ছয় কর্মকর্তা হলেন- উপ সচিব (ভান্ডার, চলতি দায়িত্ব, উপকরণাদি শাখা) মো. ফরিদ হাসানকে উপ পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (জেএসসি), উপ পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (স্ক্রীপ্ট, চলতি দায়িত্ব) রুবীকে উপ পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (স্ক্রীপ্ট), উপ সচিব (ভান্ডার, চলতি দায়িত্ব) মো. দুরুল হোদাকে উপ সচিব (ভান্ডার), সহকারী সচিব (প্রশাসন) খোরশেদ আলমকে উপ সচিব (প্রটোকল), সহকারী ক্রীড়া অফিসার মো. নুরুজ্জামানকে উপ বিদ্যালয় পরিদর্শক (রেজি.) ও গণসংযোগ অফিসার সুলতানা শামীমা আক্তারকে লাইব্রেরি অ্যান্ড ইনফরমেশন ডকুমেন্টশন অফিসার পদে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে।
এ দিকে, পদোন্নতি প্রাপ্ত ছয় কর্মকর্তার পদ-পদবী ও প্রমোশন নিয়ে জটিলতা থাকায় শিক্ষা বোর্ডের সচিব অধ্যাপক মোয়াজ্জেম হোসেন পূর্বের পদ-পদবি অনুসারে তাদের বেতন দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। এ নিয়ে চেয়ারম্যান এবং সচিবের অনুসারী কর্মকর্তা-কর্মচারীরা মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছেন। প্রতিষ্ঠানটিতে চাপা উত্তেজনা বিরাজ করছে।
সূত্র মতে, রাজশাহী শিক্ষাবোর্ড পরিচালিত হয় ১৯৬১ সালের অর্ডিনেন্স এস আর-৬৫ ও ১৯৯৭ সালের প্র-বিধিমালা অনুসারে। সে অনুযায়ী যেসব পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে, সেগুলো আইনে নেই। এছাড়া অফিস আদেশে সিলেকশন কমিটির ২১ এপ্রিল ২০১৭ তারিখের সভার উল্লেখ করা হয়েছে। ওই সভার সুপারিশে নয়জনকে ষষ্ঠ গ্রেডে বেতন দেওয়া হচ্ছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অভিযোগ করে জানান, একই সভার সুপারিশে ষষ্ঠ গ্রেড সুপারিস করে পঞ্চম গ্রেড কিভাবে দেওয়া যায়? বিষয়টি বিধিসম্মত নয়, পূর্বে এমন কোনো পদোন্নতি হয়নি। ডেপুটেশনের ছয়টি পদ ছাড়া শিক্ষা বোর্ডে আর কোনো পাঞ্চম গ্রেডের পদ নেই। ২০১৯ সালের জনবল কাঠামো নিজেদের সৃজিত, এতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ও বোর্ড সভার কোনো অনুমোদন নেই।
জানতে চাইলে শিক্ষাবোর্ডের সচিব অধ্যাপক মোয়াজ্জেম হোসেন জানান, ছয়জনের পদোন্নতির বিষয়ে তিনি অবগত নন। পদোন্নতির অফিস আদেশে তার স্বাক্ষর নেই। ওই পদোন্নতি নিয়ে জটিলতা এবং সচিবের কাছে নথি না থাকায় তিনি সকলকে পূর্বের পদ-পদবি অনুসারে বেতন দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। শিক্ষা বোর্ডের সচিব আরও জানান, কারও অন্যায় স্বার্থ হাসিলের জন্য তিনি অনিয়ম করতে পারবেন না।
আরও পড়ুন : অবৈধপথে ভারতে প্রবেশকালে নারী ও শিশুসহ আটক ১০
এ দিকে শিক্ষাবোর্ড চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোকবুল হোসেন বলেন, কোনো বোর্ড সভার আগেই চেয়ারম্যান নিজ ক্ষমতা বলে যে কোনো পদক্ষেপ নিতে পারেন। তাই ওই ছয়জনের পদোন্নতির আদেশ অবৈধ নয়। তবে পরবর্তী বোর্ড সভায় সেগুলো অনুমোদন করিয়ে নেওয়া হবে বলেও জানান শিক্ষা বোর্ডের এই কর্মকর্তা।
ওডি/এএসএল
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড