• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১  |   ২৮ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

কিশোরগঞ্জে তরুণীকে হত্যার দায়ে যুবকের ফাঁসি

  কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি

০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ২১:০২
আদালত
দীর্ঘ শুনানির পর যুবতীকে হত্যার দায়ে আদালত মো. বাচ্চু মিয়াকে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করেন (ছবি : প্রতীকী)

কিশোরগঞ্জে চাঞ্চল্যকর সরুফা ওরফে মারুফা আক্তার (১৯) হত্যা মামলায় মো. বাচ্চু মিয়া (৩২) নামে এক যুবককে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

একই সঙ্গে মামলার অপর দুই আসামি হিমা আক্তার (৩২) ও রতন মিয়াকে (৩৭) বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে আসামিদের উপস্থিতিতে কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মুহাম্মদ আব্দুর রহিম এই রায় দেন।

মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত বাচ্চু মিয়া জেলার তাড়াইল উপজেলার জাওয়ার ইউনিয়নের রতনপুর গ্রামের রইছ উদ্দিনের ছেলে।

অন্যদিকে নিহত মারুফা আক্তার একই গ্রামের মো. আব্দুর রাশিদের মেয়ে।

মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৩ সালের ১০ মে বিকালে রান্না শেষে মাটির চুলার ওপর ভেজা লাকড়ি আগুনে শুকানোর ঘটনায় প্রতিবেশী রফিকুল ইসলামের স্ত্রী হিমা আক্তারের (৩২) সঙ্গে সরুফা ওরফে মারুফা আক্তারের ঝগড়া হয়। এ সময় হিমা আক্তার দা নিয়ে মারুফাকে তাড়া করলে সে পালিয়ে যায়। ওই সময় ক্ষিপ্ত হিমা আক্তার মারুফাকে খুন না করে ভাত খাবে না বলে হুমকি দেয়।

এই হুমকির বিষয়টি জেনে মারুফা আক্তারকে খুন করে হিমা আক্তারকে ফাঁসানোর পরিকল্পনা করে বাচ্চু মিয়া। পরে পরিকল্পনা অনুযায়ী ভোররাতে ব্যক্তিগত কাজে ঘরের বাইরে বের হলে দুই হাত গামছা দিয়ে বেঁধে মারুফা আক্তারকে গলা কেটে হত্যা করে বাচ্চু মিয়া।

এ ঘটনার পরদিন ১১ মে ভোর সাড়ে ৫টার দিকে প্রতিবেশী রইছ উদ্দিনের পুকুরের পাশের জমি সংলগ্ন ড্রেনে ঝোপের মধ্যে হাত বাঁধা অবস্থায় মারুফার লাশ পাওয়া যায়। পরে ওই দিনই নিহতের বাবা মো. আব্দুর রাশিদ বাদী হয়ে হিমা আক্তারকে প্রধান আসামি করে পাঁচজনের নাম উল্লেখসহ কয়েকজনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে তাড়াইল থানায় একটি মামলা করেন।

মামলার প্রেক্ষিতে পুলিশ একই বছরের ১২ মে হিমা আক্তারকে গ্রেপ্তার করে। পাশাপাশি ওই বছরের ২৩ জুলাই মামলার অপর আসামি রতন মিয়াকেও গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরই ধারাবাহিকতায় ২০১৪ সালের ১৫ জানুয়ারি মো. বাচ্চু মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়।

আরও পড়ুন : জিন তাড়ানোর নামে পানিতে চুবিয়ে হত্যা, কথিত ফকির গ্রেপ্তার

গ্রেপ্তারের পর বাচ্চু মিয়া আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়ে মারুফাকে হত্যার বর্ণনা দেয়। পরে ২০১৪ সালের ৮ জুন তদন্ত কর্মকর্তা মো. আমিনুল ইসলাম মামলার দুই আসামিকে অব্যাহতি দিয়ে হিমা আক্তার, মো. বাচ্চু মিয়া ও বাচ্চু মিয়ার বড় ভাই রতন মিয়ার বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট জমা দেয়।

দীর্ঘ শুনানিকালে সাক্ষ্য-প্রমাণ বিবেচনায় নিয়ে বিচারক মঙ্গলবার এই রায় ঘোষণা করেন।

ওডি/আইএইচএন

আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি দৈনিক অধিকারকে জানাতে ই-মেইল করুন- [email protected] আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড