নীলফামারী প্রতিনিধি
নীলফামারীতে রাবেয়া বালিকা বিদ্যা নিকেতন স্কুলের কেন্দ্রে ৯৮ জন পরীক্ষার্থী প্রায় সাড়ে ৪ ঘণ্টাব্যাপী এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছে।
সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) ওই কেন্দ্রের ৫ ও ৮ নম্বর কক্ষে এ ঘটনা ঘটে।
ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মহাফিজুর রহমান খান দৈনিক অধিকারকে জানান, রাবেয়া বালিকা বিদ্যা নিকেতন কেন্দ্রের ৫ ও ৮ নম্বর কক্ষে সোমবার বাংলা প্রথম পত্রের পরীক্ষা চলছিল। এ দিন পূর্ব নির্ধারিত সময় অনুযায়ী সকাল ১০টার দিকে পরীক্ষাও শুরু হয়। পরীক্ষার ১ ঘণ্টা ৩০ মিনিট চলে যাওয়ার পর ১১টা ৩০ মিনিটে শিক্ষার্থীরা দায়িত্বরত শিক্ষককে জানায়, ‘স্যার এটা তো ২০১৮ সালের প্রশ্নপত্র, আগের সিলেবাসে আমাদের পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে।’
পরে তৎক্ষণাৎ ওই কেন্দ্রে নিয়োজিত পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক পুরনো সিলেবাসে পরীক্ষা নেওয়া বন্ধ করে দেন। এরপর দিনাজপুর বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের সঙ্গে কথা বলে তাদের নির্দেশনা মোতাবেক ১১টা ৫০ মিনিটে আবারও নতুন সিলেবাসে লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
পুরাতন সিলেবাসের প্রশ্নপত্র পরীক্ষার্থীদের দেওয়ার ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘আমাদের কেন্দ্রে পুরাতন সিলেবাস অর্থাৎ ২০১৮ সালের অনিয়মিত একজন পরীক্ষার্থী ছিল। সেই পরীক্ষার্থীর জন্য প্রশ্নপত্র বের করতে গিয়েই এমন গোলমালের সৃষ্টি হয়েছে।’
শিক্ষার্থীদের এমন হয়রানির বিষয়ে তিনি বলেন, ‘ভুল তো হয়ে গেছে এখন আমাদের দুঃখ প্রকাশ করা ছাড়া আর কী করার আছে। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক হাফিজুর রহামান চৌধুরীর সঙ্গে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি জানান, দিনাজপুর বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের সঙ্গে তার কথা হয়েছে। পরে তাদের নির্দেশনা মোতাবেক ১১টা ৫০ মিনিটে আবারও নতুন সিলেবাসে লিখিত পরীক্ষা শুরু হয়।’
রাবেয়া বালিকা বিদ্যা নিকেতন কেন্দ্রের মোট পরীক্ষার্থী সংখ্যা ৬২০ জন। পরীক্ষা চলাকালীন বাকি পরীক্ষার্থীরা উত্তরপত্র লেখা শেষে করে চলে গেলে অবশিষ্ট ৯৮ জন শিক্ষার্থীর অভিভাবকবৃন্দ তাদের সন্তানের কথা বললে একপর্যায়ে স্কুল প্রশাসনের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয়। পরে খবর পেয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে পরিবেশ স্বাভাবিক করে।
ওই কেন্দ্রের এক পরীক্ষার্থীর অভিভাবক রিনা খাতুন বলেন, ‘আমার ছেলে সকালে পরীক্ষা দিতে আসে। সে পরীক্ষার ভয়ে কিছু খেয়েও আসেনি। টানা ৪ ঘণ্টা পরীক্ষা তারা কেমন করে দিবে? আর তাদের পরীক্ষাই বা কেমন হবে শুরুতেই যদি ভুল হয় শেষটা কেমন হবে? এছাড়া প্রথমবার ভুল প্রশ্নের পরীক্ষা নেওয়াতে আমাদের সন্তানের ফলাফল যদি খারাপ হয় বা তারা যদি পরীক্ষায় অকৃতকার্য হয় এর দায়ভারই বা কে নেবে?
আরও পড়ুন : দুই বছর আগের প্রশ্নে ২০২০ সালের এসএসসি পরীক্ষা!
এ দিকে, ওই ৯৮ জন পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা শেষ হয় দুপুর ২টা ২৫ মিনিটে। কেন্দ্র থেকে বের হয়ে তারা জানায়, আমাদের পরীক্ষায় লিখতে হবে সাতটি সৃজনশীল। প্রথমবারে আমাদের প্রায় পাঁচটি সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর লেখা শেষ হয়ে গেছে। তারপর লক্ষ করি পুরাতন সিলেবাসে এই পরীক্ষা চলছে। পরে আমাদের আবারও পরীক্ষা নেওয়া হলে লিখতে লিখতে আমাদের হাত ব্যথা হয়ে যায়। পরে আমরা ভালো করে পরীক্ষাও দিতে পারিনি। এই বিষয়ের ফলাফল কেমন হবে তা আমরা জানি না। আর আমাদের ফলাফল খারাপ হলে এর দায়ভার কে নেবে?
ওডি/আইএইচএন
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড