ভোলা প্রতিনিধি
ভোলায় পুলিশের সহায়তায় বাল্য বিয়ের হাত থেকে রক্ষা পেল দশম শ্রেণির ছাত্রী।
রবিবার (২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সদর উপজেলার ধনিয়া ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডে মোস্তফার বাড়িতে মেয়েটির বিয়ে উপলক্ষে গায়ে হলুদ অনুষ্ঠিত হচ্ছিল। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে বিয়ের সব আয়োজন বন্ধ করে দিয়ে মেয়েকে বাল্য বিয়ের হাত থেকে রক্ষা করে। এ সময় পুলিশ কনের বাবা কামাল হোসেনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। পরে মেয়ের বয়স ১৮ বছর পূর্ণ না হলে বিয়ে দিবেন না মর্মে অঙ্গীকার নামায় স্বাক্ষর করে তিনি আইনের হাত থেকে রক্ষা পান।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মোস্তফার হোটেল কর্মচারী কামাল হোসেনের মেয়ে হাফছা আক্তার (১৫)। হাফছা আল হেরা দাখিল মাদরাসার দশম শ্রেণির ছাত্রী। পার্শ্ববর্তী বাপ্তা ইউনিয়নের এক অটোরিকশা চালকের সঙ্গে বিয়ে ঠিক করে মেয়ের পরিবার। বিয়ের আগে রবিবার মেয়ের বাড়িতে গায়ে হলুদের আয়োজন করে পরিবার। বাল্য বিয়ের খবর পেয়ে ইউনিসেফ ও কোস্ট ট্রাস্ট পরিচালিত কিশোরী ক্লাবের সদস্যরা হেল্প লাইন ১০৯৮ ফোন দেয়। খবর পেয়ে স্থানীয় ভোলা মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক সুমন ও মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের এপিসি প্রকল্পের সিআর এফ ও কোস্ট ট্রাস্টের সিবিসিপিসি এর সদস্যরা মেয়ের বাড়ি যায়। পরে অনুষ্ঠান বন্ধ করে দেয়।
আরও পড়ুন : টেকনাফে ইয়াবাসহ মাদক কারবারি আটক
ভোলা থানার ওসি এনায়েত হোসেন বলেন, ‘কোথাও বাল্য বিয়ের কথা শুনলে পুলিশের পক্ষ থেকে বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরিবারকে সচেতন করি বাল্য বিয়ে না দেওয়ার জন্য।’
ওডি/জেএস
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড