কুলেন্দু শেখর দাস, সুনামগঞ্জ
সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে এবার তরমুজের বাম্পার ফলন হয়েছে। উন্নতমানের বীজ ও সেচ সুবিধা হলে আরও বেশি পরিমাণে তরমুজ উৎপাদন হবে বলে কৃষকদের ধারণা। তবে যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত না হওয়ায় কম দামে তরমুজ বিক্রি করতে হচ্ছে চাষিদের।
জেলার তাহিরপুর উপজেলার বাদাঘাট ইউনিয়নের বিন্নাকুলির পূর্বে বুড়বুরিয়ার হাওরে ৫০ একর অনাবাদী জমিতে এবার তরমুজের আবাদ হয়েছে। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে প্রায় ৪ হাজার মেট্রিক টন তরমুজ। যার বাজার মূল্য ২ কোটি টাকা।
কৃষকরা জানান, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় গত কয়েক বছরের তুলনায় এবার তরমুজের ফলন ভালো হয়েছে এবং দামও বেশি পাওয়া যাবে।
এছাড়াও জেলার বিশ্বম্ভরপুর, জামালগঞ্জ উপজেলার বিস্তীর্ণ জমিতে প্রতিবছর তরমুজ চাষ করা হয়। ফলন ভালো হলেও কৃষকদের কম দামে তরমুজ বিক্রি করতে হচ্ছে। যোগাযোগ ব্যবস্থা না থাকায় বাধ্য হয়েই কম দামে তরমুজ বিক্রি করছেন তারা।
কৃষি অফিস ভালো বীজ সরবরাহ সেচ সুবিধা ও পরামর্শ দিলে তরমুজের উৎপাদন দ্বিগুণ হবে বলে জানান কৃষকরা। এতে বাড়বে তরমুজ আবাদের জমির পরিমাণও। জেলায় তরমুজের আবাদ বৃদ্ধির লক্ষ্যে কৃষি অফিস বীজ ও সেচের ব্যবস্থা করবে এমনটাই প্রত্যাশা করছেন সুনামগঞ্জবাসী।
আরও পড়ুন : মীরসরাইয়ে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় হতাহত ১০
এ ব্যাপারে জমির মালিক ও আওয়ামী লীগ নেতা নিজাম উদ্দিন জানান, চলতি বছরের তরমুজ চাষে প্রায় ৫ শতাধিক শ্রমিক ৪ থেকে ৫শ টাকা মজুরীতে কাজ করছেন। তবে বীজের সমস্যা প্রকট, সময়মতো বীজ না পাওয়ার অভিযোগ। তবে সরকার যদি এ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করেন তাহলে এই অঞ্চলের মানুষ তরমুজ চাষ করে লাভবান হবেন। প্রতি বিঘায় তরমুজ চাষ করতে ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা খরচ হয় এবং বিঘা প্রতি তরমুজ বিক্রি হবে দেড় থেকে ২ লাখ টাকায়।
ওডি/এএসএল
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড