‘হোমিওপ্যাথিতে করোনা ভাইরাস নিয়ন্ত্রণ সম্ভব’

বর্তমান বিশ্বে মহামারি আকার ধারণ করা করোনা ভাইরাস হোমিওপ্যাথির মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ সম্ভব বলে দাবি করেছেন টাঙ্গাইলের মির্জাপুর হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি ডা. মো. শাহাদৎ হোসেন।

ডা. শাহাদৎ হোসেন বলেন, এর আগে হোমিওপ্যাথির মাধ্যমে ডেঙ্গু রোগেরও নিয়ন্ত্রণ যেভাবে সম্ভব হয়েছে। বর্তমানে করোনা ভাইরাসের নিয়ন্ত্রণও হোমিওপ্যাথিতে সম্ভব। এজন্য হোমিওপ্যাথির আরর্সেনিকাম এল্বাম ৩০/২০০ ওষুধটি সেবনে আমরা প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস থেকে মুক্ত থাকতে পারব। পরপর তিন দিন সকালে খালি পেটে চার-পাঁচটি বড়ি (পিল) অথবা এক-দুই ফোটা ওষুধ সেবন করতে হবে। বড়-ছোট উভয়েই একই নিয়মে এই ওষুধ সেবন করতে পারবেন।

তিনি বলেন, যদি কোনো এলাকায় এই রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয় তাহলে ওই এলাকায় একই নিয়মে ওষুধটি উচ্চ মাত্রায় পুনরায় সেবন করতে হবে। সেই সঙ্গে যাবতীয় ঠান্ডা পরিহার করতে হবে। এছাড়া গরম পানি, গরম খাবার ও গরম কাপড় ব্যবহার করতে হবে।

করোনা ভাইরাস জীবানুটি মানুষ থেকে মানুষের ছোয়ায় সংক্রমিত হয়। তাই অপরিচিত মানুষের স্পর্শ থেকে বিরত থাকা এবং সর্বদা মুখে মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। এই রোগের লক্ষণ এখনো পর্যন্ত আবিষ্কার হয়নি। তবে মনে করা হয়, সর্দি ও শ্বাসকষ্টই করোনা ভাইরাসের প্রধান লক্ষণ।

আরও পড়ুন : এসএসসি পরীক্ষার্থী হত্যা : ২৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা

ড. মো. শাহাদৎ হোসেন বর্তমানে টাঙ্গাইলের মির্জাপুর হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি। সেই সঙ্গে মির্জাপুর সরকারি কলেজের সহকারী অধ্যাপক ও প্রাণিবিদ্যা বিভাগের প্রধান হিসেবে কর্মরত।

ওডি/ এফইউ