স্কুলছাত্রীকে গণধর্ষণ : আসামিদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি

ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলায় স্কুলছাত্রী গণধর্ষণ মামলায় গ্রেপ্তারকৃত আসামিরা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) জেলার চি ফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফারুক হোসাইনের আদালতে আসামিরা ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেয়।

আসামিরা হলো- ওই ছাত্রীর কথিত প্রেমিক নাসির মোল্লা, তারক মন্ডল, সৈকত মন্ডল ও নাসির।

বৃহস্পতিবার সকালে মাগুরার মোহম্মদপুর উপজেলার বাবুখালী গ্রাম থেকে ওই ছাত্রীর কথিত প্রেমিক নাসির মোল্লাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে গত বুধবার দুপুরে বোয়ালমারীর ঘোষপুর ইউনিয়নের লংকারচর গ্রামে অভিযান চালিয়ে মামলার অন্য ৩ আসামি তারক মন্ডল, সৈকত মন্ডল ও নাসিরকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

পরে বৃহস্পতিবার বিকালে গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের ফরিদপুর আমলী আদালতে পাঠানো হলে আসামিরা ধর্ষণের দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেয়। এ জবানবন্দি গ্রহণ করেন চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফারুক হোসাইন।

ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ার্ড মাস্টার সাখাওয়াত মোস্তফা বলেন, শারীরিক পরীক্ষার জন্য বৃহস্পতিবার ওই কিশোরীকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) স্থানান্তর করা হয়েছে। ঘটনার পর ওই স্কুলছাত্রীকে বুধবার সকালে ফমেক হাসপাতালের গাইনি বিভাগে ভর্তি করা হয়েছিল।

বোয়ালমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আমিনুর রহমান জানান, গণধর্ষণের ঘটনায় জড়িত কথিত প্রেমিক নাসির মোল্লাসহ ৪ জনকে বৃহস্পতিবার বিকালে ফরিদপুরের সাত নম্বর আমলী আদালতে পাঠানো হয়। সেখানে ধর্ষণের দায় স্বীকার করে তারা জবানবন্দি দিয়েছে। জবানবন্দি গ্রহণ শেষে তাদের আদালতের নির্দেশে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কারাগারে পাঠানো হয়। এছাড়া এ মামলায় জড়িত অন্য আসামিকে গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চালনো হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

আরও পড়ুন: খাবার খেয়ে একই পরিবারের ১৩ জন হাসপাতালে ভর্তি

বোয়ালমারী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. শহিদুল ইসলাম জানান, বোয়ালমারী উপজেলা সংলগ্ন মাগুরার মোহম্মদপুর উপজেলার বাবুখালী গ্রামের নাসির মোল্লার (২০) সঙ্গে মোবাইল ফোনে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে ওই স্কুলছাত্রীর। গত মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে প্রেমিক নাসির দেখা করতে এসে তাকে মধুমতি নদীর পাড়ে লংকারচরে নিয়ে যায়। সেখানে প্রেমিক নাসিরসহ তার আরও চার বন্ধু স্কুলছাত্রীকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এ ঘটনার পরদিন বুধবার ওই স্কুলছাত্রী বাদী হয়ে বোয়ালমারী থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করে।

ওডি/এসএএফ