নারায়নগঞ্জ প্রতিনিধি
ব্যাংক জালিয়াতি ও এটিএম বুথ থেকে টাকা উত্তোলনকারী চক্রের ৪ সদস্যকে আটক করেছে র্যাব-১১। এ সময় আটকৃতদের কাছ থেকে বিদেশি পিস্তল, দেশীয় অস্ত্র ও গুলিসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।
বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) দুপুরে নারাণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে র্যাব-১১ সদর দপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়।
এর আগে বুধবার রাতে কুমিল্লার দাউদকান্দি থানা এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলো- কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার আব্দুস সাত্তারের ছেলে ইদ্রিস মিয়া (৪৪), মুরাদনগর উপজেলার পালাসুতা গ্রামের মৃত আব্দুল হামিদের ছেলে ইউপি মেম্বার মমিনুল ইসলাম (৪৬), একই গ্রামের ক্বারী আবু মাসুর ছেলে আবু বক্কর সালাফী (৪৩) ও দারোরা বাজার গ্রামের আব্দুল মতিনের ছেলে রুবেল (২৪)।
আটককৃতদের কাছ থেকে ম্যাগজিনসহ একটি বিদেশি পিস্তল, ৩ রাউন্ড গুলি, ১টি চাপাতি, ১টি চাকু, একটি রঙিন প্রিন্টার, জালিয়াতির কাজে ব্যবহৃত ভুয়া সিল ২৪টি, ১৬টি সোনালী ব্যাংকের ভুয়া ভাউচার, ২৮টি বিভিন্ন ব্যাংকের ভুয়া মানি রিসিট ভাউচার, ২ পাতা এনসিসি ব্যাংকের ভুয়া পেমেন্ট স্লিপ, ১১ জনের ভুয়া গলাকাটা এনআইডি এবং ভুয়া ১৬টি এনআইডি কার্ড জব্দ করা হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে র্যাব-১১-এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আলেপ উদ্দিন জানান, দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন ব্যাংকের সিল ও অফিসের স্বাক্ষর নকল করে বিভিন্ন এটিএম বুথ থেকে টাকা উত্তোলন করে আসছিল একটি চক্র। এরপর র্যাব সদস্যরা তাদের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করে আসছিল। এরপর বুধবার রাতে কুমিল্লার দাউকান্দিতে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
তিনি আরও জানান, র্যাব জানতে পারে এই চক্রের প্রধান ইদ্রিস মিয়া। সে ৩ বছর আগে একটি হোটেলে কাজ করত। এ সময় তার সঙ্গে পশু ভাই নামে একজন ভারতীয় সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারের পরিচয় হয়। সেই সুবাদে বন্ধুত্বও গড়ে ওঠে। তার কাছ থেকেই ইদ্রিস বিভিন্ন ব্যাংক ও এটিএম বুথ থেকে জালিয়াতির টাকা আত্মসাতের কৌশল রপ্ত করে।
আরও পড়ুন: স্ত্রীর পর চলে গেলেন প্রেমিক মিজানও
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে র্যাবের এই কর্মকর্তা আরও জানান, চক্রের প্রধান ইদ্রিস প্রথমে জালিয়াতির জন্য ব্যাংক নির্বাচন করেন। এরপর নির্বাচিত ব্যাংক থেকে প্রথমে তার পরিচিত লোক দিয়ে বিদেশ থেকে রেমিট্যান্সের মাধ্যমে অল্প পরিমাণ টাকা নিয়ে আসে। আর সেই টাকা উত্তোলনের জন্য তাকে একটি গোপন পিন নম্বর দেওয়া হয়। গোপন পিন নম্বর নিয়ে ব্যাংকে গেলে ব্যাংক টাকা উত্তোলনের জন্য একটি ভাউচার তৈরি করে দেয়। এরপর সেই ভাউচার দিয়ে টাকা উত্তোলনের আগে ইদ্রিস তার মোবাইলে এর একটি ছবি তুলে রাখে। মোবাইলে ভাউচারের ছবি দিয়ে ইদ্রিস তার প্রিন্টারে নতুন নতুন ভাউচার তৈরি শুরু করে। এরপর নতুন রেমিটেন্স নম্বর বসিয়ে ব্যাংক কর্মকর্তাদের স্বাক্ষর এবং বিভিন্ন এনআইডির স্বাক্ষর নকল করে টাকা উত্তোলন করে থাকে চক্রটি।
ওডি/এসএএফ
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড