রাজশাহী প্রতিনিধি
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতাল এলাকায় নিয়ম অমান্য করে অবস্থান করা লাশবাহী গাড়ি ও কথিত অ্যাম্বুলেন্স সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্যে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন রোগী ও তাদের স্বজনরা।
এই সিন্ডিকেট রোগী ও তাদের স্বজনদের জিম্মি করে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
রামেক হাসপাতাল সংশ্লিষ্ট ও রোগীদের স্বজনদের দেওয়া তথ্য মতে, ২০১৮ সালে হাসপাতাল এলাকার মধ্যে অ্যাম্বুলেন্সের চাপায় রোগীর স্বজন নিহতের ঘটনা পর্যন্ত ঘটেছে। হাসপাতালটির ইমার্জেন্সি গেটের পশ্চিমের ফাঁকা জায়গাসহ আশপাশের এলাকায় অবৈধভাবে অ্যাম্বুলেন্স ও বিভিন্ন মাইক্রোবাস ঘণ্টার পর ঘণ্টা যত্রতত্র দাঁড়িয়ে থাকে। এতে হাসপাতাল এলাকার নিরাপত্তা ও সৌন্দর্য দুটিই নষ্ট হচ্ছে।
হাসপাতালের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আনসার বাহিনীর সদস্যরা শত চেষ্টা করেও এই যানবাহনগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না। আবার এই যানবাহনগুলোর অধিকাংশেরই নেই রাস্তায় চলার ফিটনেস। লক্কড়-ঝক্কড় গাড়িকে রাতারাতি বানিয়ে ফেলা হয়েছে অ্যাম্বুলেন্স। তাই দিয়েই চলছে রোগী পরিবহনের কাজ।
এখানেই শেষ নয় এই সিন্ডিকেট রোগী বা লাশ জিম্মি করে তাদের স্বজনদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করে আসছে। আবার ভাড়ায় না পোষালে বাইরে থেকে কোনো যানবাহন বা অ্যাম্বুলেন্স হাসপাতাল এলাকায় আনতে চাইলে তা ঢুকতে দেয় না এই সিন্ডিকেটের সন্ত্রাসী বাহিনী। এখন এই অ্যাম্বুলেন্স সিন্ডিকেট বাহিনী হাসপাতালের গেট সংলগ্ন পুরো ফাঁকা জায়গা দখল করে নিয়েছে।
তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এই সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে শুরু করেছে। কর্তৃপক্ষ হাসপাতাল এলাকায় শুধুমাত্র কিলোমিটার প্রতি ৩০ টাকা ভাড়ায় চলা যানবাহনগুলো রাখার অনুমতি দিতে চলেছে। এজন্য এরই মধ্যে একটি জায়গা নির্ধারণ করা হয়েছে। যেখানে রোগী বা লাশ বহনকারী যানবাহনগুলো শৃঙ্খলাবদ্ধভাবে অবস্থান করবে। স্বজনরা সেখান থেকে প্রয়োজনীয় ও পছন্দসই যানবাহন বাছাই করে রোগী নিয়ে যেতে পারবেন। এছাড়া সংশ্লিষ্ট গাড়িগুলোর চালকদের কাছ থেকে তাদের ড্রাইভিং লাইসেন্সসহ ফিটনেসের প্রয়োজনীয় কাগজ জমা চেয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন : নওগাঁয় জুয়েলার্স থেকে ৩০ ভরি স্বর্ণ উধাও
রামেক হাসপাতালের উপপরিচালক ডা. সাইফুল ইসলাম ফেরদৌস বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, রামেক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ রোগীদের প্রয়োজনীয় সেবা দিতে বদ্ধপরিকর। এখানে দূর-দূরান্ত থেকে রোগী ও তাদের স্বজনরা আসে চিকিৎসা সেবা নিতে। এসব অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে রোগী ও তাদের স্বজনদের অভিযোগ বহুদিনের। আমরা আশা করছি এবার তাদের সেই অভিযোগ আর থাকবে না। যে সকল অ্যাম্বুলেন্স প্রয়োজনীয় কাগজপত্র হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জমা দিয়ে ও ৩০ টাকা কিলোমিটার হিসেবে রোগীদের যানবাহন সেবা দেবার চুক্তিতে রাজি হবে, শুধুমাত্র তারাই হাসপাতাল এলাকার নির্দিষ্ট স্থানে তাদের যানবাহন রাখার অনুমতি পাবে। এতে এক দিকে যেমন রোগীদের দুর্ভোগ কমবে, তেমনি হাসপাতাল এলাকায় শৃঙ্খলা ফিরে আসবে বলে আমরা মনে করি।
ওডি/এমবি
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড