এম কামাল উদ্দিন, রাঙ্গামাটি
বাঁশ কোড়ল। পাহাড়ে বসবাসরত সকল পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর প্রিয় সবজি। মূলত বাঁশের কচি অংশটি সবজি হিসেবে খায় পাহাড়িরা। বর্ষায় বৃষ্টিতে মাটি নরম হওয়ার পরপরই বাঁশ বাগানে বাঁশ চারা গজিয়ে ওঠা শুরু করে। তখন চারার কচি অংশটি সংগ্রহ করেন পাহাড়িরা।
এ অংশকে চাকমারা বলে বাচ্চুরি, মারমারা মহ্ই এবং ত্রিপুরারা মেওয়া বলে থাকে। বিভিন্নভাবে এ সবজি খায় তারা। তেল, শুঁটকি, মাংসের সঙ্গে মিশিয়ে খাওয়া যায় এ সবজি। একসময় এ সবজিটি শুধু পাহাড়িরা খেলেও এখন সবার কাছে বেশ জনপ্রিয়। বাঁশের চারার বাকল ছোলে শুধু কচি অংশটি সবজি হিসেবে খাওয়া হয়। বাঁশ কোড়ল ভাজি, বাঁশ কোড়ল গাবি, বাঁশ কোড়ল গুদায়া, বাঁশ কোড়ল তাবা পাহাড়িদের কাছে বেশ প্রিয় তরকারি।
স্বাদে অতুলনীয় বাঁশ কোড়লের মধ্যে মুলি বাঁশের কোড়ল। এটিই সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয়। এছাড়াও মিতিঙ্গা, বাজ্জে, ডুলু, পারোয়া, কালিছুড়ি বাঁশ কোড়লও খাওয়া যায়।
রাঙ্গামাটিতে বেড়াতে আসা পর্যটকদের পছন্দের খাবারের তালিকায় রাখে এ বাঁশ কোড়ল। এটি মৌসুমী সবজি হওয়ায় শীত মৌসুমে বেড়াতে আসা পর্যটকদের ভাগ্যে জুটে না এ বাঁশ কোড়ল। বর্ষাকালে এ সবজিতে ভরপুর থাকে বাজার। মৌসুমের সময় জেলা শহরের বাজারগুলোতে বাঁশ কোড়ল কেজিতে বিক্রি হয় ত্রিশ থেকে একশ টাকা।
আরও পড়ুন : হবিগঞ্জে সড়কে প্রাণ গেল ২ জনের
বাঁশ কোড়ল সম্পর্কে অনেকেরই ধারণা নেই। অজ্ঞতার কারণে বাঁশ কোড়ল খাওয়াকে অনেকে পরিবেশবিরোধী বলে থাকেন। ভরা মৌসুমে বাগান থেকে বাঁশ কোড়ল তোলা না হলে বাগানে বাঁশ বৃদ্ধিতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়। কোড়ল সময়মতো তোলা না হলে বাগানে বাঁশের কোড়ল ঘন হয়ে বাঁশ আকারে ছোট হয়। তবে এর চাহিদা ক্রমেই বৃদ্ধি পাওয়ায় চাপ পড়েছে বাঁশের ওপর।
ওডি/জেএস
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড