অপহরণের পর শিশুকে হত্যা, আসামির যাবজ্জীবন

যশোরের চৌগাছা উপজেলায় সৌরভ সাহা (১০) নামে এক শিশুকে অপহরণের পর হত্যার দায়ে বিল্লাল হোসেন নামে এক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানাসহ অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

সোমবার (২৭ জানুয়ারি) দুপুরে যশোরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মাহমুদা খাতুন আসামির অনুপস্থিতিতে এ রায় দেন।

কারাদণ্ডে দণ্ডিত বিল্লাল হোসেন চৌগাছা উপজেলার পিতাম্বরপুর গ্রামের বাসিন্দা। এছাড়া নিহত শিশু সৌরভ উপজেলার গরিবপুর গ্রামের স্বপন সাহার ছেলে।

আদালত ও মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১২ সালের ৯ জুলাই দুপুরে শিশু সৌরভ টিফিনের সময় স্কুল থেকে বাড়ি আসে। এরপর দুপুরের খাওয়ার পর সে পুনরায় স্কুলে ফিরে যায়। পরবর্তীকালে বেলা আড়াইটার দিকে অপরিচিত একটি নম্বর থেকে তার বাবার মুঠোফোনে কল আসে।

ওই নম্বরের কল রিসিভ করলে বলা হয়, সৌরভকে অপহরণ করা হয়েছে। পাঁচ লাখ টাকা নিয়ে ঝিনাইদহে আসলে তাকে ছেড়ে দেওয়া হবে। আর অপহরণের ঘটনা র‌্যাব-পুলিশকে জানালে সৌরভকে হত্যা করা হবে বলেও মুঠোফোনে হুমকি দেওয়া হয়।

এ ঘটনার পরদিন ১০ জুলাই রাতে সৌরভের বাবা স্বপন সাহা চৌগাছা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। পরে ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ওই রাতেই চৌগাছা উপজেলার চিতাম্বরপুর গ্রাম থেকে বিল্লাল হোসেনকে আটক করে পুলিশ। এরপর বিল্লালের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ১১ জুলাই সকালে উপজেলার গরিবপুর গ্রামের একটি পাটখেত থেকে শিশু সৌরভ সাহার লাশ উদ্ধার করা হয়।

ওই সময় তদন্তে বেরিয়ে আসে শিশু সৌরভকে শ্বাসরোধে হত্যার পর পাটখেতে ফেলে রাখা হয়। পরবর্তীকালে এ ঘটনায় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ছয়জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।

আদালতের সরকারি কৌঁসুলি এম ইদ্রিস আলী দৈনিক অধিকারকে জানান, অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত বিল্লাল হোসেনকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত করেন। একই সঙ্গে তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানাসহ অনাদায়ে আরও ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

আরও পড়ুন : ছেলেকে হত্যার দায়ে মায়ের ২০ বছরের কারাদণ্ড

তিনি বলেন, বর্তমানে বিল্লাল হোসেন পলাতক রয়েছে। তবে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় এই মামলার অপর পাঁচ আসামিকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত।

ওডি/আইএইচএন