আমতলী প্রতিনিধি, বরগুনা
বরগুনার আমতলী উপজেলায় ফারিয়া ইসলাম মালা নামে এক কলেজছাত্রীকে ধর্ষণ শেষে হত্যা করে লাশ সাত টুকরা করার দায়ে প্রধান আসামি আলমগীর হোসেন পলাশের ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত।
একই সঙ্গে মামলার অপর আসামি আইনজীবী মঈনুল হোসেন বিপ্লবকে যাবজ্জীবন, রিয়াজকে সাত বছর কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি হত্যাকাণ্ডে সম্পৃক্ততা না পাওয়ায় ইমা রহমানকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
রবিবার (২৬ জানুয়ারি) বরগুনার নারী ও শিশু নির্যাতন আদালতের বিচারক মো. হাফিজুর রহমান এই রায় দেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৭ সালের ২৪ অক্টোবর আমতলী উপজেলার হাসপাতাল সংলগ্ন আইনজীবী বিপ্লবের বাসায় কলেজছাত্রী মালাকে জবাই করে হত্যা করা হয়। পরে লাশ লুকানোর জন্য সাত টুকরা করে পানিতে ধুয়ে দুইটি ড্রামে ভরে রাখা হয়।
এ ঘটনার পরদিন পুলিশ খবর পেয়ে আইনজীবী বিপ্লবের বাসায় অভিযান চালিয়ে নিহত মালার ড্রামভর্তি লাশ উদ্ধার করে। একই সময় ওই বাসা থেকেই পলাশকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ওই রাতে বিপ্লব ও পলাশের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও দুই থেকে তিনজনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে পুলিশ।
বরগুনার নারী ও শিশু নির্যাতন আদালতের পিপি মো. মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল বলেন, কলেজছাত্রী মালা হত্যা মামলায় আসামি পলাশকে ধর্ষণ ও হত্যার দায়ে মৃত্যুদণ্ড, আইনজীবী বিপ্লবের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও মৃতদেহ লুকানোর দায়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং পলাশের সহকারী রিয়াজের বিরুদ্ধে মৃতদেহ লুকাতে সহযোগিতা করায় সাত বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। অন্যদিকে মামলার অপর আসামি আইনজীবী পলাশের স্ত্রী ইমা রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে বেকসুর খালাস প্রদান করা হয়েছে।
আরও পড়ুন : স্ত্রীর সহযোগিতায় শ্যালিকাকে যৌন নির্যাতন
তবে বিষয়টিতে আসামিপক্ষের আইনজীবী হুমায়ুন কবীর বলেন, ‘আমরা ন্যায়বিচার পাইনি। তাই আমরা উচ্চ আদালতে যাব।’
ওডি/আইএইচএন
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড