শরীয়তপুর প্রতিনিধি
শরীয়তপুরে উজাড় করে দেওয়া হচ্ছে সখিপুর-ভেদরগঞ্জ সড়কের পুরনো করোই গাছ। নিজেদের গাছ দাবি করে এলাকার প্রভাবশালী মহল কেটে বিক্রি করছে এই গাছ। ১০ লাখ টাকা মূল্যের এই গাছ বিক্রি করছে ছয় লাখ টাকায়। এই নিয়ে এলাকায় গাছ কাটা গ্রুপের মধ্যে চলছে দ্বন্দ্ব।
জেলার ভেদরগঞ্জ উপজেলার সখিপুর চরচান্দা বাজার সংলগ্ন সড়কের পূর্ব পাশের পুরনো করোই গাছ (রেইন ট্রি) কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
শনিবার (২৫ জানুয়ারি) সরেজমিনে দেখা যায়, সখিপুর থানার চরচান্দা বাজারের পশ্চিম পাশে সড়কের পাশে থাকা গাছ কেটে নিচ্ছে একদল মানুষ।
জানা যায়, গাছগুলো সড়ক ও জনপদ বিভাগের। গাছের সংখ্যা প্রায় ৪০টি। মূল্য প্রায় ১০ লাখ টাকা। সেই গাছ সিরাজ মুন্সি, মিন্টু ঢালি ও মতি মুন্সি ৬ লাখ ৬০ হাজার টাকার সরকারি গাছ কেটে বিক্রি করছেন।
জানতে চাইলে সিরাজ মুন্সি বলেন, আমরা বন বিভাগের অনুমতি নিয়ে গাছ কাটছি। তবে এ ব্যাপারে আমি আর কিছু জানি না।
সরকারি গাছ বিক্রেতা গ্রুপের মিন্টু ঢালি মুঠোফোনে বলেন, আমরা মন্ত্রীর লোক, সখিপুর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মানিক সরকারসহ ইউএনও বলেছে গাছ কেটে নাও।
গাছ কাটা গ্রুপের মতি মুন্সি বলেন, আমরা গাছ লাগিয়েছি যা রাস্তায় পড়েছে, তারপরেও ইউএনও সাহেবের অনুমতি নিয়ে গাছ কেটেছি। নিজেদের ভেতর গাছ নিয়ে দ্বন্দ্বের কারণে চেয়ারম্যানের সামনে থানার ওসি গাছের টাকা নিয়ে গেছে। মীমাংসা হলে টাকা দেবে।
সখিপুর থানা আ. লীগের সাধারণ সম্পাদক মানিক সরকার বলেন, এ গাছগুলো তারা লাগিয়েছে বলে তাদের দাবি। তারা আরও বলেছে ইউএনও এবং বন বিভাগের অনুমতি নিয়েছি। আমি হুকুম দেইনি। আমি গাছ কাটার হুকুম দেওয়ার কে?
ভেদরগঞ্জ উপজেলা বন কর্মকর্তা তার লিখিত প্রতিবেদনে বলেন, সরজমিন দেখা যায় এ গাছ গুলো রাস্তা হওয়ার পূর্বে লাগানো হয়েছে। রাস্তাটির উন্নয়ন কাজ শুরু হবে। রাস্তাটি সড়ক ও জনপথের, তারা প্রয়োজনে গাছ কাটতে পারেন।
ভেদরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তানভীর-আল-নাফিস দৈনিক অধিকারকে বলেন, গাছ যেই লাগাক সড়কের মধ্যে বা সড়কের জায়গায় পরলে তা সড়কের। এ গাছ সড়ক বিভাগ ছাড়া কেউ কাটতে পারবে না। আমি কাউকে গাছ কাটার অনুমতি দেই নাই। কিছুদিন পূর্বে একটি দরখাস্ত পেয়ে আমি বন বিভাগে পাঠিয়ে দিয়েছি।
আরও পড়ুন : নওগাঁয় টিএসসি স্থাপন করায় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ
রবিবার (২৬ জানুয়ারি) দুপুর ১টায় সখিপুর থানার ওসি এনামুল হক এনাম মুঠোফোনে দৈনিক অধিকারকে বলেন, গাছ আসলে তাদের। রাস্তায় গাছ থাকাতে কিছু বিধান মেনে গাছ কাটতে হয়। তারা ইউএনওর অনুমতি নিয়ে গাছ কাটবে বলে জানিয়েছে। যারা গাছ কাটছে তাদের ভেতর জায়গাজমি নিয়ে বিরোধ রয়েছে। চেয়ারম্যান মীমাংসা করতে পারেনি। চেয়ারম্যানসহ সবাই আমাকে বিশ্বাস করে মীমাংসা করার দায়িত্ব দিয়েছে। গাছ বিক্রির টাকাও তারা আমার কাছে রেখেছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে আমি দায়িত্ব নিয়ে মীমাংসার প্রক্রিয়া চলছে।
ওডি/এএসএল
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড