সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি
সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ উপজলোর আলিপুর গ্রামের কৃষকের সন্তান জাকির হোসেন নিজের ভাগ্য পরির্বতন করতে নিজের বাড়িতে এক হাজার হাঁসের একটি খামার গড়ে তুলেছিলেন। উপজলোর ফেনারবাক ইউনিয়নের আলিপুর গ্রামের সদর মিয়ার ছেলে মো. জাকির হোসেন নিজ সন্তানের মতো করেই এসব হাঁসের দেখভাল করতেন।
প্রতিদিনের মতো শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) দুপুরে পাশবর্তী গ্রামের ভান্ডা জলমহালের একাংশে হাঁসকে প্রাকৃতিক খাদ্য খাওয়াতে নিয়ে যান। ইজারাকৃত ভান্ডা জলমহালের কিছু অংশ মাছ ধরার জন্য কামধরপুর গ্রামের দ্বীন ইসলামের ছেলে আলী মর্তুজা, আব্দুল গনির ছেলে মুসা মিয়াসহ কয়েকজন মিলে মাছ চাষ করার জন্য সাব-লিজ নেন।
সরকারি জলমহাল নীতিমালা অনুযায়ী কোনো জলমহালে পানি সেচে বিলের তলা শুকিয়ে মাছ ধরার নিয়ম নেই। কিন্তু জলমহালের ওই অংশটুকু থেকে মাছ ধরার জন্য তারা সরকারি নীতিমালাকে বৃদ্ধাগুলি দেখিয়ে মাছ ধরার জন্য জলমহালের সব পানি সেচে একেবারে শুকিয়ে ফেলে। সেই সঙ্গে মাটির নিচে লুকিয়ে থাকা মাছ ধরার জন্য সেই মাটিতে তারা বিষ প্রয়োগ করে।
শুকনো বিলে হাঁস নেমে মাটি থেকে খাদ্য খাওয়ার পর ঘটনাস্থলেই একের পর এক হাঁস মারা যেতে থাকে। বিলের দায়িত্বে থাকা লোকজন এসব দেখে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত প্রায় শতাধিক হাঁস ঘটনাস্থলে মারা যাওয়ার খবর পাওয়া যায়।
হাঁসের মালিক জাকির জানান, জলমহালে হাঁস চরানোর আগে মাছ ধরার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসা করা হয়, জলমহালে কোনো ধরনের বিষ প্রয়োগ করা হয়েছে কি না। কিন্তু তারা জবাবে কোনো ধরনের বিষক্রিয়া মাটিতে প্রয়োগ করেনি বলে জানায়।
আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত খামারি জাকির হোসেন অভিযোগ করেন, কামধরপুর গ্রামের উল্লেখিত কয়েক জন শক্রুতা করে এ ঘৃণ্য কাজ করেছে। এ ঘটনায় হাঁসের মালিক জাকির হোসেন মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানান।
আরও পড়ুন: স্বামী ও শ্বশুর-শ্বাশুড়ি মিলে গৃহবধূর চুল কর্তন
এ ব্যাপারে জামালগঞ্জ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা অমিত পণ্ডিত বলেন, জলমহাল সাব লিজ দেওয়া ও পানি শুকিয়ে মাছ ধরা অন্যায়। বিষয়টি নিয়ে কোনো অভিযোগ পাইনি। তবে সরেজমিন পরিদর্শন করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
এ ব্যাপারে জামালগঞ্জ থানার অফিসার ইনর্চাজ মোহাম্মদ সাইফুল আলম বলেন, এই মুর্হূতে আমি কুমিল্লায় আছি। তবে ঘটনার ব্যাপারে অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেব।
ওডি/ এফইউ
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড