• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩৯ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

শিক্ষকদের হয়রানির অভিযোগে শিক্ষা কর্মকর্তাকে ঘেরাও

  ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি

২৩ জানুয়ারি ২০২০, ২২:৩৯
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে ঘেরাও
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে ঘেরাও করেন শিক্ষকরা (ছবি : দৈনিক অধিকার)

ঠাকুরগাঁওয়ে সদ্য জাতীয়করণ করা শিক্ষকদের কাছে এক সপ্তাহের মধ্যে দুটি নোটিশে ১৫ প্রকার তথ্য ও কাগজপত্র চাওয়ায় হয়রানির অভিযোগ তুলে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে ঘেরাও করেছে বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক কল্যাণ সমিতি ঠাকুরগাঁও জেলা শাখা।

বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) বিকালে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার সদ্য জাতীয়করণকৃত ২০৭টি বিদ্যালয়ের আট শতাধিক শিক্ষক-শিক্ষিকা শিক্ষা কর্মকর্তাকে ঘণ্টাব্যাপী ঘেরাও করে রাখেন।

জানা যায়, ২০১৩ সালে সদর উপজেলার ২০৭টি রেজিস্ট্রার্ড প্রাথমিক বিদ্যালয়কে জাতীয়করণ করা হয়। ওই সময় প্রতিটি বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের নিয়োগ যোগদানসহ অন্যান্য তথ্যাদি দাখিল করা হলেও উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা গত ১৫ জানুয়ারি এক নোটিশে সদ্য জাতীয়করণ করা বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের নিয়োগ যোগদান ও শিক্ষার সনদপত্র চান। যথারীতি শিক্ষকরা তা দাখিল করেন।

এ দিকে, গত মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) দ্বিতীয় দফা নোটিশে সকল বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের কাছে ‘বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির প্রথম রেজুলেশন, নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির কপি, লিখিত-মৌখিক পরীক্ষার চূড়ান্ত রেজুলেশন, সর্বশেষ এমপি কপি, উপজেলা শিক্ষা কমিটির অনুমোদন কপিসহ ১১ প্রকারের তথ্য ও কাগজ ২৬ জানুয়ারির মধ্যে দাখিল করতে বলা হয়।

এতে শিক্ষকরা ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন এবং বৃহস্পতিবার বিকালে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে ঘেরাও করে বর্ণিত কাগজপত্র দাখিলের কারণ জানতে চান। জবাবে দুদকের অনুসন্ধানের স্বার্থে তা চাওয়ার কথা জানালে শিক্ষকরা তা দাখিলে অপারগতা প্রকাশ করেন।

এ সময় বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক কল্যাণ সমিতির জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক শামসুল আলম, সদর উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক সুফিয়ান সিদ্দিক খান, সদস্য আব্দুল মান্নানসহ শিক্ষক-শিক্ষিকারা উপস্থিত ছিলেন।

শিক্ষক নেতা আব্দুল মান্নান বলেন, দীর্ঘ আন্দোলন সংগ্রামের পরে সরকার সারা দেশের মতো সদর উপজেলার ২০৭টি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে জাতীয়করণ করে। শিক্ষকদের হালনাগাদ তথ্য যাচাই-বাছাই শেষে তাদের গেজেট প্রকাশ করা হয় এবং তারা সরকারি সুযোগ সুবিধা ভোগ করে আসছেন। কাজেই জাতীয় করণের সাত বছর পর কোনো ব্যক্তির অভিযোগের প্রেক্ষিতে আমরা পুরাতন কাগজপত্র দাখিলে বাধ্য নই। এতে আমরা হয়রানির শিকার হচ্ছি সেই সঙ্গে বর্ণিত তথ্য দাখিলে অপারগতা প্রকাশ করেছি।

আরও পড়ুন: বাঁধ কেটে দেওয়ায় বাঁশখালীর কয়েকশ একর বোরো চাষ অনিশ্চিত

এ বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা রুনা লায়লা শিক্ষকদের বলেন, দুনীতি দমন কমিশন দিনাজপুর কার্যালয়ের এক পত্রের প্রেক্ষিতে শিক্ষকদের কাছে বর্ণিত কাগজপত্র আবারও চাওয়া হয়েছে। সেক্ষেত্রে তিনি শিক্ষকদের হয়রানি না করার প্রতিশ্রুতি দেন।

ওডি/ এফইউ

আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি দৈনিক অধিকারকে জানাতে ই-মেইল করুন- [email protected] আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড