ইমন চৌধুরী, পিরোজপুর
কঁচা নদীর কোল ঘেঁষে গড়ে ওঠা দক্ষিণাঞ্চলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মৎস্য বন্দর হচ্ছে পিরোজপুরের পাড়েরহাট মৎস্য বন্দর। আর এই বন্দরের কাছেই গড়ে উঠছে মাছ শুকানোর স্থান। যা শুঁটকি পল্লী নামে পরিচিত। পিরোজপুরের চিথলিয়া ও পাড়েরহাট গ্রামে শুঁটকি তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন শ্রমিকরা।
শুঁটকির মৌসুমে বঙ্গোপসাগর থেকে মাছ ধরে এনে রোদে শুকিয়ে, প্রক্রিয়াজাত করে বানানো হচ্ছে শুঁটকি। তবে শুঁটকি শ্রমিকদের দাবি, উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা ও সরকারি খাস জমি পেলে স্বল্প খরচে, এই শুঁটকি শিল্পকে আরও বড় আকারে করা সম্ভব। আর জেলা মৎস্য অফিস বলছে, শুঁটকি শ্রমিকদের দাবিগুলো লিখিতভাবে দিলে উদ্যোগ নেওয়া হতে পারে।
পিরোজপুরের মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র বাদুরা। এই কেন্দ্র থেকে খানিকটা দূরেই হলো কঁচা নদী। নদীর পাড়ে গড়ে উঠেছে শুঁটকি পল্লী।
শুঁটকি শ্রমিকরা জানান, এখানে গত ১০ বছর ধরে কার্তিক মাস থেকে শুরু হয়ে প্রায় সাড়ে পাঁচ মাস চলে শুঁটকির ব্যবসা। এখানে পাওয়া যায় ফাইস্যা, লইট্যা, চিতলসহ প্রায় ৩৬ রকমের শুঁটকি। আর এখান থেকেই বিভিন্ন প্রজাতির শুঁটকি মাছ ঢাকা, সৈয়দপুর, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় যাচ্ছে। সেই সঙ্গে দেশের চাহিদা মিটিয়ে রপ্তানি হচ্ছে বিদেশেও।
স্থানীয় ব্যবসায়ী ও শ্রমিকরা জানান, এখানে লইট্টা ও ট্যাংরাসহ প্রায় ৩০-৩৬ ধরনের মাছের শুঁটকি করা হয়। এতে অনেকের কর্মসংস্থান হয়েছে। এখানে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি হলে আরও বেশি পরিমাণে শুঁটকি উৎপাদনসহ মুনাফার পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে। এছাড়া সরকারি খাস জমি পেলে এই শুঁটকি শিল্পকে আরও বড় আকারে করা সম্ভব। এজন্য সরকারের সহযোগিতার কথা বলছেন শুঁটকি ব্যবসায়ীরা।
পিরোজপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আব্দুল বারী বলেন, শুঁটকি শ্রমিকদের সমস্যা আমাদের কাছে লিখিতভাবে জমা দিলে মন্ত্রণালয়ে কথা বলে উদ্যোগ নেওয়া যেতে পারে। পিরোজপুর সদরের চিথলিয়া ও ইন্দুরকানি উপজেলায় গড়ে ওঠা শুঁটকি পল্লী থেকে বছরে প্রায় দেড় কোটি টাকার শুঁটকি তৈরি হয়ে থাকে। যা বিভিন্ন দামে চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠানো হয়।
আরও পড়ুন: সুনামগঞ্জে জলমহাল নিয়ে দুপক্ষের সংঘর্ষে আহত ২৫ বর্তমান সময়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো-নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করা। শুঁটকিতে যেন কোনো ধরনের রাসায়নিক ব্যবহার করা না হয় সেজন্য সরকারিভাবে প্রশিক্ষণ দেওয়ার দাবি সংশ্লিষ্টদের।
ওডি/ এফইউ
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড