বান্দরবান প্রতিনিধি
বান্দরবানের রোয়াংছড়ি উপজেলায় অং মে সিং মারমা (৩০) নামে এক গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামী ক্যনুঅং মারমার (৩৮) বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় বুধবার (২২ জানুয়ারি) সকালে ক্যনুঅং মারমাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। একই সঙ্গে ময়না তদন্তের জন্য নিহত ওই গৃহবধূর লাশ মর্গে পাঠানো হয়।
নিহত অং মে সিং রোয়াংছড়ি উপজেলার ৩ নম্বর আলেক্ষ্যং ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কচ্ছপতলি পাড়ার থুই সা চিং মারমার মেয়ে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানা যায়, মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) রাতে উপজেলার কচ্ছপতলি পাড়ায় দাদা মারা যাওয়ায় তার মৃতদেহ দেখতে এসেছিলেন অং মে সিং মারমা। সেদিন রাত হয়ে যাওয়ায় লাপাইগয় পাড়ার নিজ বাড়িতে না ফিরে কচ্ছপতলিতে বাবার বাড়িতেই অবস্থান করেন তিনি। একপর্যায়ে রাত সাড়ে ১০টার দিকে তার স্বামী ক্যনুঅং মারমা শ্বশুরবাড়িতে এসে স্ত্রী অং মে সিং মারমাকে জোরপূর্বক নিজ বাড়িতে নিয়ে আসে।
নিহতের পরিবারের অভিযোগ, ক্যনুঅং মারমা নিজ বাড়িতে পৌঁছালে স্ত্রী অং মে সিং মারমাকে পিটিয়ে হত্যা করে। পরে স্থানীয়রা ঘটনাস্থল থেকে তার স্বামীকে আটক করে রোয়াংছড়ি থানায় খবর দেয়। এরপর রোয়াংছড়ি থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ক্যনুঅং মারমাকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
নিহত অং মে সিং মারমার বাবা থুই সা চিং মারমা অভিযোগ করে বলেন, ‘বিনা কারণে আমার মেয়েকে আমাদের বাড়ি থেকে রাতের আঁধারে ডেকে নিয়ে খুন করেছে তার স্বামী ক্যনুঅং মারমা। তাই আমি খুনি ক্যনুঅং মারমার কঠিন শাস্তি দাবি করছি।’
আরও পড়ুন : শৈলকুপায় ইসলাম ধর্ম নিয়ে কটূক্তি, শিক্ষক আটক
এ ব্যাপারে রোয়াংছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শরিফুল ইসলাম দৈনিক অধিকারকে জানান, ‘নিহতের লাশ উদ্ধার করে বান্দরবান সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। একই সঙ্গে ওই গৃহবধূর স্বামীকেও আটক করা হয়েছে। অং মে সিং মারমাকে খুন করা হয়েছে বলে নিহতের পরিবার দাবি করছেন। তবে নিহত গৃহবধূর শরীরে আঘাত বা রক্তক্ষরণের কোনো চিহ্ন পাওয়া যায়নি। এ সময় তদন্তের পর বিস্তারিত ঘটনা জানা যাবে বলেও উল্লেখ করে পুলিশের এই কর্মকর্তা।
ওডি/আইএইচএন
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড